লরি-গাড়ি সংঘর্ষে মৃত পর্যটক

লাটাগুড়ি থেকে জলদাপাড়া যাওয়ার পথে লরির সঙ্গে ছোট গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পর্যটকের৷ তাঁর নাম ধনঞ্জয় দত্ত (৪৭)। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বীরপাড়া শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৩
Share:

বিধ্বস্ত: ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

লাটাগুড়ি থেকে জলদাপাড়া যাওয়ার পথে লরির সঙ্গে ছোট গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পর্যটকের৷ তাঁর নাম ধনঞ্জয় দত্ত (৪৭)। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে। শনিবার বেলা পৌনে দশটা নাগাদ বীরপাড়া চৌপথীর কাছে এশিয়ান হাইওয়েতে সেই দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছেন ধনঞ্জয়বাবুর স্ত্রী, পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অর্পিতা দত্ত, ‘ট্যুর অপারেটর’ তপন চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট পাঁচ জন। তাঁদের প্রথমে বীরপাড়া হাসপাতাল ও সেখান থেকে শিলিগুড়ির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

Advertisement

পর্যটকদের দলটি ২৭ ডিসেম্বর ডুয়ার্সে পৌঁছয়৷ ছ’দিনের জন্য ডুয়ার্স, লাটাগুড়ি, জলদাপাড়া, গরুমারা যাওয়ার কথা ছিল। দলে মোট ৩০ জন ছিলেন৷ তাঁদের ২২ জনেরই বাড়ি অণ্ডালে৷ বাকি আট জন আসানসোলের বাসিন্দা৷ ডুয়ার্সে এসে প্রথমে তাঁরা লাটাগুড়ির একটি রিসর্টে ওঠেন৷ গরুমারা ঘুরে দেখার পরে শনিবার সকালে তাঁরা জলদাপাড়া রওনা হন৷ সে জন্য সকাল সকালই চারটি ছোট গাড়িতে চেপে রওনা হয়ে যান৷ জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা করতে সাত পর্যটককে নিয়ে তপনবাবুর ছেলে দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আগেই জলদাপাড়া পৌঁছে যান৷ পিছনে আসছিল বাকি তিনটি গাড়ি৷

দীপঙ্করবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা মোট চারটে গাড়িতে ছিলাম। বাকি তিনটি গাড়িতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাওয়া সত্ত্বেও এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসেননি। শেষমেশ পথচলতি স্থানীয় একটি গাড়িতে আমরা হাসপাতালে আসি।’’ বীরপাড়া চৌপথীর কাছেই বাড়ি প্রশান্ত নাহার। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রাই ছুটে গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে সকলকে হাসপাতালে পাঠান।’’

Advertisement

পর্যটকদের বক্তব্য, উল্টো দিক থেকে আসা লরিটি প্রচণ্ড জোরে আসছিল৷ তবে পর্যটকদের গাড়িটি জলদাপাড়ায় জঙ্গল সাফারিতে যাওয়ার জন্যই তাড়াহুড়ো করছিল কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও দীপঙ্করবাবু বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়৷ কারণ, জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থার জন্য তো আমরাই জলদাপাড়ায় আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম৷” পুলিশ জানিয়েছে, দূর্ঘটনার পরেই লরিটি পালিয়ে যায়৷ সেটিরও খোঁজ চলছে।

পর্যটকদের দলটিতে ধনঞ্জয়বাবুর শ্বশুর ধনপতি মণ্ডলও ছিলেন৷ তাঁর কথায়, “ভাবতেই পারছি না, ঘুরতে এসে এমনটা হবে৷ আমার মেয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেল৷” ধনপতিবাবু জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে তাঁর মেয়ে ও নাতিও ছিল৷ তবে তাঁদের তেমন চোট লাগেনি৷

ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব দে জানান, আলিপুরদুয়ারে ময়নাতদন্তের পর এ দিনই ধনঞ্জয়বাবুর দেহ সড়কপথে অণ্ডাল রওনা করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement