বৃষ্টিতে ডুয়ার্সে ব্যাহত পর্যটন

কোথাও ঝিরিঝিরি কোথাও আবার মুষলধারে বৃষ্টি। লাটাগুড়ি থেকে রসিকবিল, জয়ন্তী থেকে চিলাপাতা সর্বত্রই কার সাফারি এড়িয়েছেন পর্যটকেরা। শুক্রবার কোথাও লজে বসে গল্প করে কাটিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩২
Share:

কোথাও ঝিরিঝিরি কোথাও আবার মুষলধারে বৃষ্টি। লাটাগুড়ি থেকে রসিকবিল, জয়ন্তী থেকে চিলাপাতা সর্বত্রই কার সাফারি এড়িয়েছেন পর্যটকেরা। শুক্রবার কোথাও লজে বসে গল্প করে কাটিয়েছেন তাঁরা। কেউ আবার ঘুরতে বেড়িয়ে চায়ের দোকানের আশ্রয় নিয়েছেন। পর্যটন মরসুমে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে কার্যত দিশেহারা কারসাফারির চালক থেকে টুরিস্ট গাইড সকলেই।

Advertisement

সপরিবারে কলকাতার শ্যামনগর থেকে চিলাপাতা ঘুরতে এসেছেন সুবীরকুমার আইচ। শুক্রবার জয়ন্তী থেকে চিলাপাতার একটি লজে ওঠেন। সুবীরবাবু জানান, এমনিতে মেঘলা আবহাওয়া ভালই লাগছে। তবে ঘোরাটাই মাটি। সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। লাটাগুড়ি থেকে জয়ন্তীতে ডে ভিজিটে এসেছিলে কল্যাণ বিশ্বাস। তিনি জানান, ভেবছিলাম জয়ন্তী থেকে বক্সাব্যাঘ্র প্রকল্পে কার সাফারি করব। কিন্তু বৃষ্টির জেরে তা বাতিল করতে হয়েছে।

ডুয়ার্স টুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব দে জানান, কালী পুজোর পর থেকেই পর্যটনের ঢল নামে। অগ্রিম পরিকল্পনা করে যাঁরা নানা জায়গায় ঘুরতে এসেছেন তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে থেকে বৃষ্টি। মোবাইল অ্যাপে দেখেছি শনিবারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিয়াঝোরার একটি লজ থেকে রসিকবিলে গিয়েছিলেন কয়েক জন পর্যটক। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের আর রসিকবিল ঘোরাই হয়নি।

Advertisement

জয়ন্তী টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শেখর ভট্টাচার্য জানান, কয়েক জন পর্যটক ডে ভিজিটে এসেছিলেন। বৃষ্টিতে অধিকাংশই না ঘুরে ফিরে গিয়েছেন। টুরিস্ট গাইড ও গাড়ি চালকেরা নিরাশ। চিলাপাতার লজ মালিক গণেশ শাহ জানান, দুপুরের পরে বৃষ্টি জোরে পড়তে শুরু করে। পর্যটকেরা কার সাফারিতে যেতে সাহস পাননি। ঘরেই বসে কাটিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাড়ি চালক জানান, বৃষ্টি দু’তিন দিন চললে সমস্যা বাড়বে। জঙ্গলের রাস্তাও কাদা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement