রায়গঞ্জে বিজেপি-র যোগদান মেলা। —নিজস্ব চিত্র
আগে থেকেই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছি বিজেপি-তে যোগদান মেলা। তার জন্য আনা হয়েছিল হেভিওয়েট নেতাদের। কিন্তু যোগ দিলেন না প্রায় কেউ। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের যোগদান মেলায় একমাত্র পরিচিত মুখ তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর উদ্যোগে রায়গঞ্জের রাজপথে পদযাত্রায় ভিড় অবশ্য নজর কেড়েছে।
রবিবার রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে বিজেপির পূর্বঘোষিত সুবিশাল যোগদান মেলায় হাজির ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি। রাজ্যে নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ, মালদহ উত্তর-এর সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ জেলা নেতৃত্ব। সেই সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা নেতৃত্ব-সহ রায়গঞ্জ শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রায় ১৫ হাজার তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
এই সভার আগে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে একটি র্যালির আয়োজন করেন কৃষ্ণ। সেই র্যালিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই ছিলেন।
কৃষ্ণর যোগদানকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। রায়গঞ্জের তৃণমুল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমুলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘রবিবারের তৃণমূল কংগ্রসের যোগদান মেলায় যে সুবিশাল র্যালি দেখা গিয়েছে, তার বেশিরভাগ ছিলেন পার্শ্ববর্তী জেলা মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর ও দার্জিলিং-এর। বিজেপি ব্যবসায়ীদের দল, ওই দলে একজন ব্যবসায়ী যোগদান করবেন এটা স্বাভাবিক। ওই ব্যবসায়ীর অনেক টাকা। টাকা দিয়ে জনসমাগম বাড়ানো হয়েছে।’’