হাসপাতালে ভর্তি জখম কংগ্রেস কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পর্ব শেষ হতে না হতেই বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটায় তিন বিজেপি কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই রাতেই দুই কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে সেই দিনহাটারই ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রনারায়ণ এলাকায়। পাশাপাশি, কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের পাঠছড়া পঞ্চায়েতের ডাঙারহাট এলাকায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা ফেলে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের দাবি, কোচবিহার শান্তই রয়েছে।
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রনারায়ণ এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী মুকুল রহমানের স্ত্রী শাবানা ইয়াসমিনের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে দলীয় কর্মীদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই ঘটনায় দু’জন কংগ্রেস কর্মী আহত হয়ে ভর্তি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। কোচবিহার-১ ব্লকের পাঠছড়া পঞ্চায়েতের ডাঙারহাটে বিজেপি প্রার্থী মানিক রায়ের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি-১ নম্বর পঞ্চায়েতের সাহেব কলোনি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির দাবি, ওই বোমা তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে গিয়েছে তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন,‘‘বিরোধীরা মিথ্যা কথা বলছে। কেউ কি দেখেছে তৃণমূলের লোকজন এই সব করেছে? দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগসাজশ নেই। কোথাও হয়তো বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তা প্রশাসন দেখবে। তবে কোচবিহার জুড়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় আছে।’’