প্রতীকী ছবি
খাবার নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চায় না মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এ বার দলীয় সভায় কর্মীদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বেঁধে দিলেন তাঁরা। স্থির হয়েছে, আগের মতো ডিমের ঝোল-ভাতই খাওয়ানো হবে। তবে সভা চলাকালীন বা সভার শেষে তা বিলি করা হবে না। দেওয়া হবে কুপন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর মোথাবাড়িতে বসছে তৃণমূলের মালদহ জেলার বিশেষ অধিবেশন। বুধবার মোথাবাড়িতে সেই অধিবেশনের প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, খাবার নিয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সভার প্রতিনিধিদের আগাম খাবারের কুপন দলীয় অঞ্চল নেতৃত্বের মাধ্যমে ধরিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে খাবার কীভাবে নিতে হবে, সেই নির্দেশও আগে থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কর্মীদের। কিন্তু হঠাৎ খাবার নিয়ে কেন এত সতর্কতা?
তৃণমূল সূত্রেই খবর, গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে দলীয় সভায় ডিম-ভাত বিলি নিয়েই তুলকালাম কাণ্ড বেধেছিল। সভামঞ্চে তখন হাজির দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি, দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। সভাস্থলের কাছেই তৈরি হয়েছিল খাবারের জন্য ব্লক পিছু কাউন্টার। সভাস্থলে যত লোক ছিল তার চেয়ে বেশি লোক তখন কুপন হাতে খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সভা চলাকালীনই খাবার বিলি করতে হয়েছিল। কিন্তু সভা শেষের পর যখন আরও অন্তত হাজার পাঁচেক তৃণমূল কর্মী কুপন হাতে সেখানে পৌঁছেছিলেন, তখন খাবার প্রায় শেষ। কেউ শুধু ঝোল পেয়েছেন, কেউ ভাত। কোনও ব্লকের কাউন্টারে সেটাও নেই। ফলে ক্ষোভে অনেক কর্মীই হাতের কাছে প্লাস্টিকের বাটি, গ্লাস বা মাটিতে পেতে রাখা ত্রিপল পর্যন্ত তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে দলের মালদহ জেলার বিশেষ অধিবেশন রয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর মোথাবাড়ির পিডব্লিউডি মাঠে। এ দিন বিকেলে মোথাবাড়িতে সেই অধিবেশনের প্রস্তুতি নিয়েই দলের জেলা কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার দলীয় প্রতিনিধিদের ডিমের ঝোল-ভাত খাওয়ানো হবে ঠিকই। কিন্তু এ বার আর সভা চলাকালীন বা সভার পরে তা বিলি হবে না। সভা শুরুর আগেই কুপন দেখিয়ে ডিমের ঝোল-ভাতের প্যাকেট ও একটি করে জলের বোতল কর্মীদের সংগ্রহ করতে হবে। সেই খাবার কর্মীরা কখন, কোথায় খাবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। এ দিন সভা শেষে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘গত নারায়ণপুরের সভায় খাবার নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তাই এ বার আমরা সভা চলাকালীন বা শেষে খাবার না দিয়ে আগেই হাতে ধরিয়ে দেব। খাবার নিয়েই তাঁরা সভাস্থলে ঢুকবেন।’’ তিনি জানান, এ বারের অধিবেশনে জেলার প্রতিটি সাংগঠনিক বুথ থেকে বাছাই করা পাঁচজন কর্মী আসবেন।’’