বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকে পাশে চায় তৃণমূল

২০১৬ সালে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে পুনর্নির্বাচিত হন প্রমথনাথ রায়। দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর প্রায় দু’মাস আগে তাঁর মৃত্যু হয়। তাই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপিকে রুখতে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন চাইল তৃণমূল। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ‘দিদিকে বলো’ এবং দলের জন সংযোগ কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তার পরে তিনি বলেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে দলের তরফে কংগ্রেসের সমর্থন চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আমি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও প্রস্তুত রয়েছি।’’

Advertisement

২০১৬ সালে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে পুনর্নির্বাচিত হন প্রমথনাথ রায়। দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর প্রায় দু’মাস আগে তাঁর মৃত্যু হয়। তাই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।

যদিও ওই উপনির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রমথবাবুর মেয়েকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় তৃণমূল এখন কংগ্রেসের কাছে সমর্থন চাইছে।’’

Advertisement

কানাইয়ার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ৬১ হাজার ও কংগ্রেস ১৮ হাজার ভোট পেয়েছে। কিন্তু ওই কেন্দ্র এলাকা থেকে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ৫৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছে। তাই বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের তৃণমূলকে সমর্থন না করে কাকে সুবিধা করে দিতে চাইছে, তা জনগণ বিচার করবে।’’

মোহিত বলেন, ‘‘তৃণমূলের ওসব যুক্তি দিয়ে কোনও লাভ নেই। নির্বাচনের ফলেই সব স্পষ্ট হবে।’’

কানাইয়া জানিয়েছেন, দিদিকে বল কর্মসূচি সফল করতে দলের তরফে জেলার নয়টি ব্লকের বাসিন্দাদের মধ্যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বর বিলি করার কাজ শুরু হয়েছে। দলনেত্রীর নির্দেশে আগামী ২ অগস্ট থেকে জেলার প্রতিটি ব্লকের দলীয় নেতা ও কর্মীরা জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করবেন। দলীয় নেতা ও কর্মীরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের স্থানীয় সমস্যা, অভাব ও অভিযোগের কথা শুনে তা মেটানোর চেষ্টা করবেন।

এ দিন ন’টি ব্লকের তৃণমূল নেতাদের দলনেত্রীর ছবি ও ফোন নম্বর লেখা জনসংযোগ কর্মসূচির গেঞ্জি তুলে দেওয়া হয়েছে।

কানাইয়া বলেন, ‘‘দল জেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পিছিয়ে পড়েছে। দলীয় নেতাদের একাংশের দীর্ঘদিন ধরে জনসংযোগ নেই। সেই কারণেই, লোকসভা নির্বাচনে জেলায় দলের খারাপ ফল হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement