প্রতীকী ছবি।
সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ব্লক, অঞ্চল স্তরে দলের মূল কমিটি গঠন নিয়ে একাধিক এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগী বিধায়ক মিহির গোস্বামীর নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক অঞ্চল কমিটি না করে নির্বাচনী কমিটি গড়ল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার আওতায় থাকা সব গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কাউকে অঞ্চল কমিটির সভাপতি করার বদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্বাচনী কমিটিতে ‘যুযুধান’ শিবিরের একাধিক নেতার নাম রয়েছে। শনিবার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি কমিটিগুলি ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, একে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাতে দলের কর্মীদের একাংশে অস্বস্তি রয়েছে। এ বার অঞ্চল কমিটি গঠন করে সভাপতি-সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হলে কোন্দলের আশঙ্কা বাড়ত। তাতে এলাকায় সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হওয়ার চর্চাও ছিল। সে জন্যই কৌশল বদলে সবাইকে একজোট রাখার পরিকল্পনা হয়। তাতে নির্বাচন পর্যন্ত কোন্দল, ক্ষোভ-বিক্ষোভের সম্ভবনাও কমবে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক অবশ্য কোন্দলের আশঙ্কার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার আওতাধীন ব্লক, অঞ্চলের যুব নেতৃত্বের তরফেই সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিটি গড়ার প্রস্তাব এসেছিল। সেই মতো কমিটি হয়েছে।”
যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ছাত্র রাজনীতিতে অভিজিৎ ‘দাপুটে নেতা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি যুব সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পান। দিনহাটা ছাড়া প্রায় সব বিধানসভায় ব্লক, অঞ্চল কমিটি করে পদাধিকারীদের নামও ঘোষণা করেন। কিছু এলাকায় ওই কমিটি নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়। কিন্তু কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার ক্ষেত্রে তিনি সেই রাস্তায় হাঁটতে চাননি। এক যুব নেতার কথায়, ‘‘অন্য বিধানসভার সঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণকে গুলিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। একমাত্র ওই কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপিতে গিয়েছেন। তাই ভোটের আগে অঞ্চল কমিটির পদাধিকারী হওয়া নিয়ে গোলমাল বাড়লে তাতে দলের ক্ষতি হত।’’
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাই সেখানে এগিয়েছেন কৌশলী অভিজিৎ। তাঁর কথায়, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর ওই বিধানসভার আওতাধীন ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সাংগঠনিক কমিটি হবে।’’