বৃষ্টিভেজা: ছাতা মাথায় প্রচারে গৌতম দেব। —নিজস্ব চিত্র।
ভরা গ্রীষ্মে কলকাতা থেকে দার্জিলিঙে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে বৃষ্টির দমকে থমকে গেলেন এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী। কেউ উপায় না দেখে কালিম্পঙের পার্টি অফিসে বসে বৈঠক করলেন। কেউ কার্শিয়াঙের পার্টি অফিসে।
সব মিলিয়ে মঙ্গলবার পাহাড়ে ছিলেন রাজ্যের ৬ জন মন্ত্রী। কোথাও জনসভা, কোথাও পথসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টিতে সব কর্মসূচি পণ্ড। পথসভা বদলে গেল কমিউনিটি হলে কর্মী-সমর্থকদের বৈঠকে। ছাতা মাথায় বাড়ি-বাড়ি ঘুরলেন মন্ত্রীরা।
সকাল ৯টা থেকে পথসভা-জনসভা-মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল দার্জিলিঙে। অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি চলছিল শৈলশহরে। পরপর সব কর্মসূচি বাতিল হতে থাকে। দুপুরের পর নিজেই ছাতা মাথায় বেরিয়ে পড়েন তিনি। একটি হাইস্কুলের ঘরে সভার আয়োজন হয়। রাজীববাবুর কথায়, ‘‘কতক্ষণ ঘরে বসে থাকব? প্রচারে এসে ঘরে বসে কাটাব নাকি।’’
দার্জিলিঙে ছিলেন আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জেমস কুজুর এবং পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল করার কথা ছিল কুজুরের। বৃষ্টিতে মিছিলের লোক হবে না বলে জানিয়েছিলেন কর্মীরা। মিছিল দেখার জন্য বাসিন্দারা ছাতা মাথায় বাইরে আসবে তো? এমনই সংশয়ে জেমস কুজুর ছাতা মাথায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সভা করতে শুরু করেন। দুপুরের পরে বৃষ্টি কিছুটা ধরলে কালিম্পঙে ছাতা মাথায় চড়াই-উতরাই পথে হেঁটে প্রচার করেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
দার্জিলিঙে দলের ভোট পর্যবেক্ষক পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু। বৃষ্টি দেখেই তড়িঘড়ি কয়েকটি ঘরোয়া সভা আয়োজন করার নির্দেশ দেন তিনি। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুরী গ্রামের পদযাত্রাও করেছেন ছাতা মাথায়। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘হাতে তো প্রচারের দিন বেশি নেই। বৃষ্টি হলেও ঘরে বসে থাকা যাবে না।’’ একই অবস্থায় কার্শিয়াঙে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। তিনিও দলের তরফে কার্শিয়াঙের ভোট পর্যবেক্ষক। প্রতিদিন সকালে বাজারে ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ দিন বৃষ্টিতে তা সম্ভব হয়নি। দুপুরের পরে ছাতা মাথায় প্রচারে বের হলেও তা ভুলতে পারছেন না রবিবাবু।
পুরভোট রয়েছে রায়গঞ্জেও। বৃষ্টির জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সকালের রোড-শো পিছিয়ে হয় দুপুরে। কার্শিয়াঙে বৃষ্টির তোড় দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। পাহাড়ে বৃষ্টির গতিপ্রকৃতির সঙ্গে তিনি খুব একটা পরিচিত নন। তবে ভোট প্রচারের আঁটঘাট বোঝেন ভালই। মলয়বাবুর কথায়, ‘‘দিনদুয়েক পাহাড়ে প্রচার করব। ছাতা আনিয়েছি।’’