জেলা কমিটি নিয়ে তোপ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর, পাল্টা তোপ আব্দুর রহিম বক্সীর। — নিজস্ব চিত্র।
জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তোলাবাজকে। সদ্যগঠিত দলে জেলা কমিটি নিয়ে এমনই মন্তব্য করে বসলেন মালদহের তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাঁর দাবি, যাঁরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন তাঁদের রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে। কৃষ্ণেন্দুর মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মালদহ জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। স্রেফ বিরোধিতা করার জন্যই এমন কথা বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালদহে ১৩২ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তৃণমূলের জেলা কমিটি। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। যদিও ওই কমিটিতে রয়েছেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী কাকলি চৌধুরীও। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর মতে, ‘‘যাঁরা পদাধিকার বলে এসেছেন তাঁরা কেউ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। আমার এত বছর হয়ে গেল, নির্বাচনের সময় কোনও দিন তাঁকে মিছিলে হাঁটতে দেখিনি, পার্টির স্লোগান দিতে দেখিনি, হ্যান্ডবিল দিতে দেখিনি বা পোস্টার সাঁটতে দেখিনি। এক্সটর্টশন (তোলাবাজি) করে। তাঁকে জেলা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি করা হয়েছে। এমন কিছু লোক আছেন যাঁদের পাঁচটা ছেলে নেই, যাঁরা পাড়ার কোনও কাজ করেন না তাঁকে জেলা কমিটিতে নিয়োগ করা হয়েছে। এখন এখানকার যিনি দায়িত্বে তিনি ভেবেছেন এঁদের নিয়ে এলে দল শক্তিশালী হবে।’’ কৃষ্ণেন্দুর সংযোজন, ‘‘এঁরা দলের পঞ্চায়েত, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে দলের বিরোধিতা করেছেন। নিজেদের বুথে হেরেছে। তাদেরকে পদাধিকার বলে নিয়ে গেলে পার্টির কী হবে এটা পরিষ্কার।’’ তাঁর মতে, কলকাতার নেতারা ওই কমিটি পর্যালোচনা করেননি। কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্য, ‘‘কারণ কত পর্যালোচনা করবেন? তাই মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।’’ সেই ক্ষোভ ‘দেখা উচিত’ বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্য নিয়ে নাম না করে রহিম বলেন, ‘‘কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বিরোধিতাই করবেন। বিরোধিতা না করতে পারলে তাঁরা রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেন না। সমাজে এমন কিছু মানুষ ঘুরে বেড়ান। আমাদের এই জেলা কমিটিকে তৃণমূলের বুথ থেকে জেলা স্তরের সব নেতারা সম্মান জানিয়েছেন। কারণ এটা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির হয়েছে।’’ কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ, ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি।