প্রতিবাদ: স্মারকলিপি দিতে জেলাশাসকের দফতরে অর্পিতা। নিজস্ব চিত্র
এফসিআই-এর জেলা অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল। বুধবার বালুরঘাটে তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা জেলাশাসকের কাছে গিয়ে অফিস স্থানান্তর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান।
অর্পিতা জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর ও উত্তর দিনাজপুর—দুই জেলার রেভিনিউ ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে ১৯৬৫ সাল থেকে বালুরঘাটে এফসিআইয়ের জেলা অফিস কাজ করছে। এ জেলার চাষিদের স্বার্থ এবং গণবণ্টন ব্যবস্থা ক্ষুণ্ণ করে ওই জেলা অফিসটি বালুরঘাট থেকে তুলে মালদহের এফসিআই অফিসের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অফিসটি কোনও ভাবেই বালুরঘাট থেকে ওঠানো যাবে না বলে দাবি জানিয়ে এ দিন তৃণমূল নেতৃত্ব জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে স্মারকলিপি দেন। জেলাশাসক জানান, বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানিয়ে নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে। এ দিনের আন্দোলনে অর্পিতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার, জেলাপরিষদের মেন্টর সোনা পাল ও অন্য নেতৃবৃন্দ।
এ দিন তৃণমূলের পাশাপাশি এফসিআই কর্মী সংগঠনের সদস্যরাও জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে আর্জি জানান। নেতৃবৃন্দের দাবি, বালুরঘাট থেকে দফতরটি উঠে গেলে এফসিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক বয়স্ককর্মী বিপাকে পড়বেন। পেনশনপ্রাপক ওই সমস্ত কর্মীদের অনেকের বয়স সত্তর থেকে আশি বছর। প্রতি বছর পেনশনের জন্য লাইফ-সার্টিফিকেট ও অন্য কাজে তাঁদের পক্ষে বালরঘাট থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বের মালদহে যাওয়া চরম সমস্যাজনক হয়ে উঠবে। এ ছাড়া চাষি থেকে চালকল এবং মিড-ডে মিল ও নানা খয়রাতি প্রকল্পে খাদ্যশস্য বণ্টনের প্রক্রিয়াও মার খাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মী সংগঠন অভিযোগ তুলেছে।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গণবণ্টন ব্যবস্থায় এ জেলায় প্রতি মাসে এফসিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রায়োরিটি হাউস হোল্ড (পিএইচএইচ) প্রকল্পে ৩০ হাজার ৫০৩ কুইন্টাল, অন্ত্যোদ্বয় প্রকল্পে ৪ হাজার ২৪৮ কুইন্টাল এবং তিন মাস অন্তর মিড-ডে মিলে ১৭ হাজার ৭৫৮ কুইন্টাল ও আইসিডিএস কেন্দ্রে ৬ হাজার ৬৮০ কুইন্টাল চাল সরবরাহ করা হয়। বালুরঘাট থেকে এফসিআইয়ের জেলা দফতরটি উঠে গেলে ওই সু্ষ্ঠু গণবণ্টন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়বে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।