তড়িঘড়ি দোমহনীতে জেলা পরিষদের কর্তারা
TMC

TMC: ‘এত দিন কোথায় ছিলেন’, উঠছে প্রশ্ন

দোমহনী থেকে ধূপগুড়ির সভামঞ্চে পৌঁছে অভিষেক নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে। বুধবার একের পর এক নেতা পৌঁছন দোমহনীতে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৮
Share:

পরিদর্শন: দোমহনী হাটে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, সহ সভাপতি দুলাল দেবনাথ ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মনোজ রায়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’— দোমহনী হাটে নামার পর এই প্রশ্নই ধেয়ে এল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ এবং সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের দিকে। বুধবার দুপুরে দু’জন যখন জেলা পরিষদের বাস্তুকারদের নিয়ে দোমহনী হাটে পৌঁছন, তখন রোদে চার পাশ ঝলসে যাচ্ছে। সেই গরমেও ভিড় জমে গেল এবং শুরু হল বিক্ষোভ। গত মঙ্গলবার এই হাটেই আচমকা নেমে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানান বাসিন্দারা। অভিষেক হাটের অবস্থা দেখে সেখান থেকেই ফোন করেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে। এক মাসের মধ্যে হাট সংস্কার করে শেড তৈরির নির্দেশ দেন ফোনে। এলাকার তৃণমূল নেতারা অভিষেককে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ভোট না থাকলে নেতারা কেউ খবরও নেন না।

Advertisement

দোমহনী থেকে ধূপগুড়ির সভামঞ্চে পৌঁছে অভিষেক নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে। এ দিন, বুধবার একের পর এক নেতা পৌঁছন দোমহনীতে। যদিও তাতে ক্ষোভ কমেনি বাসিন্দা বা স্থানীয় নেতাদের। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল নেতা রবীন ঘোষ বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পরে এক দিনও ব্লক সভাপতি এখানে আসেননি।’’

জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ হাট পরিদর্শনের সময় পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য গৌতম দে এসে বলেন, ‘‘কত দিন ধরে আপনাকে হাটের কথা বলেছি। কিছু করলেন না!’’ জনতার জটলা থেকে আওয়াজ ওঠে— ‘‘আজ চাপে পড়ে এসেছেন! আগে তো খবর রাখেননি!’’ হাটের ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন করেন, তাঁরা কি এক দিনও হাটে এসে দেখেছেন, মানুষ কী ভাবে কেনাবেচা করেন? তাঁরা জানান, হাটে শেড নেই। এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘আপনারা রোদেএক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকুন তো দেখি! আমাদের রোজ ভুগতে হয়! আজ আপনারা ভুগুন!’’

Advertisement

হাটটি জেলা পরিষদের হলেও গত পাঁচ বছরে এক দিনও জেলা পরিষদের কোনও প্রতিনিধি আসেননি বলে স্থানীয়দের দাবি। এই হাটে শেড নেই। পুরনো দোকানগুলি ভেঙে গিয়েছে। চার পাশে জঞ্জাল এবং ঝোপ। বৃষ্টি হলে জলকাদায় হাটে চলাফেরা করা যায় না, রোদের তাপে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে অভিযোগ। সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ আশ্বাস দেন, দ্রুত হাট সংস্কার শুরু হবে। উত্তরা বর্মণ বললেন, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে তো প্রায়ই যাই। গাড়ি থেকে দু’দিকের দোকান দেখি। আগে নেমে কোনওদিন দেখা হয়নি। আজ দেখলাম।’’ প্রশ্ন ওঠে, ‘‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement