—প্রতীকী ছবি।
মালদহের ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ নম্বর আসনের বিজেপির প্রার্থী নিমাই সিংহের ভাই প্রসেনজিৎ সিংহকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইংরেজবাজার থানার মহারাজপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী নিমাই সিংহের বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে একটু দুরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে গল্প করছিলেন প্রসেনজিৎ। সেই সময় চারচাকার একটি গাড়ি আসে। কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে প্রসেনজিৎকে অপহরণ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে।
কোচবিহারেও বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের কিসামত দশগ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার রাত ১টা নাগাদ ওই বিজেপি কর্মীকে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বিজেপি সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম শম্ভু দাস। বৌদি বিশাখা দাস পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। রবিবার তাঁর বাড়িতে যান নিশীথ। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে আমাদের বহু প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল। দিনহাটার কিছু কুখ্যাত নেতা রয়েছে, যাঁরা শম্ভু দাসের মৃত্যুকে নিয়ে কুকথা বলছে। দিনহাটার এখন অরাজকতা চলছে। বারবার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। পর পর দু’বার আমার গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। এক মাসের মধ্যে দিনহাটা বিধানসভায় দুটো হত্যালীলা চলল। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। যখন দেখছে আর লড়াই করে পেড়ে উঠছে না, তখন আমাদের কর্মীদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।’’
পাল্টা উদয়ন বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই নিশীথ প্রামাণিকের। উনি যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গোলমাল পাকাচ্ছে নিজের ব্যর্থতা নিজের অপদার্থতা ঢাকার জন্য। শম্ভু দাসের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু সেটা ত্রিমুখী প্রেমের ঘটনা। আমরা সেটা এলাকার মানুষদের থেকে খবর পেয়েছি। প্রত্যেকটা খুনের পিছনে একটা কারণ থাকে। শম্ভু দাস কোনও রাজনৈতিক দল করতেন না। শম্ভুর দাদা-বৌদি খুন হলে তাও বোঝা যেত যে এই কারণে খুন হয়েছে! কিন্তু আমার প্রশ্ন শম্ভুকে কী কারণে তৃণমূল খুন করতে যাবে।’’