ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের হুমকি, ধৃত

কখনও সিবিআই অফিসার। কখনও বা আবার বিচারপতি। এমনই নানান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজারদের ফোন করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। নম্বর দিয়ে থানায় জমা পড়ছিল একের অপর এক অভিযোগ। কিন্তু অভিযুক্তের হদিশ পেতে নাজেহাল হচ্ছিল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:১৩
Share:

কখনও সিবিআই অফিসার। কখনও বা আবার বিচারপতি। এমনই নানান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজারদের ফোন করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। নম্বর দিয়ে থানায় জমা পড়ছিল একের অপর এক অভিযোগ। কিন্তু অভিযুক্তের হদিশ পেতে নাজেহাল হচ্ছিল পুলিশ।

Advertisement

অবশেষে বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার শহরের রবীন্দ্র এভিনিউ এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে পুলিশের পাশাপাশি স্বস্তি পেয়েছেন ব্যাঙ্কের কর্তারাও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুকুমার মণ্ডল মানিকচক থানার উত্তর চন্ডীপুরের রামশঙ্করটোলা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় গৃহ শিক্ষক এই ব্যক্তি কেন ফোনে ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার ম্যানেজারদের হুমকি দিতেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে গত ৩ অক্টোবর ঋণ না পেলে খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ফোন করা হয়। পরের দিনই ইংরেজবাজার থানায় ফোন নম্বর দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর শহরের আরও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। কখনও বিচারপতি পরিচয় দিয়ে ফোন করে নথিপত্র ঠিক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আবার কাউকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্কে হানা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমন ফোন পেয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজারেরা।

Advertisement

অবশেষে মোবাইল ফোনের টাওয়ার চিহ্নিত করে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অঙ্কে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে সুকুমারবাবুর। গ্রামে পঞ্চম থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের পড়ান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে একটি ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পাননি। তার পর থেকেই এ ভাবে ব্যাঙ্কের আধিকারিকেদর হুমকি দিতেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মানসিক রোগী কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement