—প্রতীকী চিত্র।
মালদহে ‘জাল’ বন্ড দাখিল করে হিমঘর থেকে আলু তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। রবিবার পুরাতন মালদহের আদিনা স্টেশন সংলগ্ন একটি হিমঘর থেকে প্রায় ২০০ বস্তা আলু তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট হিমঘর কর্তৃপক্ষ মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রের খবর, অভিযোগ পেয়ে সোমবার পুরাতন মালদহ থেকে দু'জনকে, ও তাদের জেরা করে রাতেই গাজল থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার জেলা আদালতে তুলে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, মালদহে কি ‘জাল’ আলুর বন্ড তৈরির চক্র সক্রিয়? এ দিকে, হিমঘর মালিক সংগঠনের অভিযোগ, এই ‘জাল’ বন্ড নিয়ে থানায় অভিযোগ করায় জেলার দুটি হিমঘর কর্তৃপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মালদহ জেলায় ১৫টি হিমঘর রয়েছে। সেই হিমঘরগুলিতে ‘বন্ড’ দিয়ে কৃষকদের ১,২৬,৫৬৬ টন আলু মজুত করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ শতাংশ আলু বিক্রির জন্য বার করা হয়েছে এবং হিমঘরগুলিতে মজুত রয়েছে প্রায় এক লক্ষ টন আলু। মালদহের আদিনা স্টেশন সংলগ্ন হিমঘরের তরফে থানায় জানানো হয়, গত ৩০ জুন পুরাতন মালদহের ধুমাদিঘি এলাকার উপেন ও অভিজিৎ রাজবংশী নামে দু'জন দুটি বন্ড হিমঘর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে ২০০ বস্তা আলু তুলে নিতে চান। কিন্তু ওই দুটি বন্ডের নথিপত্র দেখে সংশ্লিষ্ট হিমঘর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় এবং তাঁরা বুঝতে পারেন, একই নম্বরের সেই বন্ড দু’টি ‘জাল’। সে দিনই তাঁরা মালদহ থানায় ওই দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার উপেন এবং অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে আরও তিন জনের নাম জানতে পারে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সুফল স্বর্ণকারের বাড়ি ঘাকশোলে, দুলাল সরকারের বাড়ি চন্দ্রাইলে ও সঞ্জয়প্রসাদ ভগতের বাড়ি রাজাদিঘি এলাকায়।
‘মালদহ কোল্ড স্টোরেজ ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি উজ্জ্বল সাহার দাবি, ‘জাল’ বন্ড নিয়ে থানায় দুটি হিমঘর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানানোর পর থেকেই তাঁদের নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘আলুর জাল বন্ডের অভিযোগ পেয়ে পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত কি না, দেখা হচ্ছে।’’