মেয়র গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের ছবি, নাম ব্যবহার করে মোবাইলে পুরপ্রতিনিধিদের কাছে টাকা চেয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার সকালে পুরপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে ফোন করেন মেয়র। ঘটনায় হইচই পড়েছে শহরে।
এ দিন সকালে কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি সুজয় ঘটক তাঁর মোবাইল ফোনে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নম্বরে মেয়রের ছবি এবং তার নাম লেখা একটি নম্বর থেকে বার্তা (মেসেজ) পান। তাতে জানতে চাওয়া হয়, সুজয় কী করছেন? পুরপ্রতিনিধি জবাবে জানান, কেরলে মেয়েকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে এসেছেন। এর পরে জানতে চাওয়া হয়, তিনি গিফট কার্ড ব্যবহার করেন কি না? মেয়রের ছবি দেওয়া সেই ফোন নম্বরে পুরপ্রতিনিধি মেসেজ করে জানান, তিনি গিফট কার্ড ব্যবহার করেন। তখন তাঁকে জানানো হয়, মেয়র বৈঠকে ব্যস্ত। এ দিন তাঁকে এক জায়গায় পাঁচটা ১০ হাজার টাকার গিফট চেক দিতে হবে। তাঁর কাছে কার্ড নেই বলে করতে পারছেন না। এক ঘণ্টার মধ্যে তা করা দরকার। তাই তিনি (সুজয় ঘটক) সেটা করে দিলে এ দিনই পরে তাঁকে ওই টাকা তিনি দিয়ে দেবেন। সন্দেহ হওয়ায় সুজয় সরাসরি মেয়রকে ফোন করেন এবং স্পষ্ট হয়ে যায়, সে বার্তা প্রতারণা চক্রের পাঠানো। এ দিন পুরপ্রতিনিধিদের অনেকেই একই মেসেজ পান। অনেকে মেয়রকে জানান। মেয়র তখনই শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে জানান। ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এমন মেসেজ পেয়ে যাঁরা উত্তর দেন তাঁদের কাছেও টাকা চেয়ে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। যেমন বিজেপির পুরপ্রতিনিধি শালিনী ডালমিয়া, বরো চেয়ারম্যান গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের মতো অনেককেই পাঠানো হয়েছে এই মেসেজ। এ দিন পুরসভায় বোর্ড-সভার শেষে শালিনী বিষয়টি জানান। মেয়র বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের অনেকের কাছেই আমার ছবি, নাম করে টাকা চাওয়ার মেসেজ গিয়েছে। সুজয় ঘটক প্রথমে জানান। পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে তখনই জানিয়েছি। মিটিং থাকায় তখন লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি। তা করতে বলা হয়েছে।’’