বাদ পড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঠিকা শ্রমিকেরা

কারখানা খুললেও ৩২ জন ঠিকা কর্মীকে কাজে না নেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ যার জেরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সার কারখানা তিস্তা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের অন্যান্য ঠিকা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

কারখানা খুললেও ৩২ জন ঠিকা কর্মীকে কাজে না নেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ যার জেরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সার কারখানা তিস্তা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের অন্যান্য ঠিকা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ঠিকা কর্মীদের একাংশ কাজে যোগ দেননি৷ বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইএনটিটিইউসি নেতারা৷ শ্রম দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন৷

Advertisement

জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের ওই সার কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক তো রয়েইছে৷ পাশাপাশি একাধিক ঠিকাদার সংস্থার অধীনে প্রচুর শ্রমিক কাজ করেন৷ এরমধ্যে একটি ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে ৬২ জন শ্রমিক রয়েছে৷ কারখানা সূত্রের খবর, তাদের সঙ্গে গোলমালের জেরেই গত ৪মে কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলায় মালিকপক্ষ৷ গত শুক্রবার অবশ্য কারখানা খুলে দেওয়া হয়৷

ওই ৬২ জন ঠিকা শ্রমিকের দাবি, শুক্রবার যে কারখানা খুলেছে তা তারা ওই দিন অনেক দেরিতে জেনেছেন৷ সে জন্য শনিবার সকালে তাঁরা কাজে যোগ দিতে যান৷ কিন্তু সেই সময় কারখানার তরফে তাদের বলা হয়, ৬২ জনের মধ্যে ৩০ জন শ্রমিককে কাজে নেওয়া হবে৷ বাকিদের নেওয়া হবে না৷ এই ঘটনায় সব শ্রমিকের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ ওই শ্রমিকদের কেউই আর কাজে যোগ দেননি৷ কারখানার ঠিকা শ্রমিক আসাফুল মহম্মদ বলেন, ‘‘আমরা কাজ করলে সবাই করব, তা না হলে কেউ করব না৷’’

Advertisement

আইএনটিটিইউসি নেতা স্বপন সরকার বলেন, ‘‘শুক্রবার কারখানা খোলার অনেক পড়ে সেই খবর আমাদের জানিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ৷ তবে সেই সময় তারা বলেছিলেন, সব শ্রমিককেই কাজে নেওয়া হবে৷ আজ আচমকা কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ঠিক করেনি৷ বিষয়টি শ্রম দফরতরকে জানিয়েছি৷’’

জলপাইগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার রথীন সেন বলেন, ‘‘কিছু ঠিকা শ্রমিককে কাজে নিতে চায়নি বলে টেলিফোনে শুনেছি৷ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি৷’’ বিষয়টি নিয়ে কারখানার ম্যানেজার সন্তোষ মোহান্তীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি৷ আর কারখানার মালিক হরদেব সিং বলেন, ‘‘আমি বাইরে রয়েছি৷ কারখানায় ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement