বন্ধ বাড়িতে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দম্পতির। রবিবার সকালে ভক্তিনগর থানার গৌরাঙ্গপল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী লিটন মণ্ডল (২৬) ঘরে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তাতে পুড়ে তিনিই প্রথমে মারা যান।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্ত্রী রুপো মণ্ডলকে (২২) শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। বছর পাঁচেক ধরে বিয়ে হলেও দম্পতির কোনও সন্তান ছিল না। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল ছিল। পরে দুই পরিবারের মধ্যেও তিক্ততার তৈরি হয়। গত ২০ দিন ধরে রুপোদেবী একই পাড়ায় বাপের বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন এসিপি (পূর্ব) থেন্ডুপ শেরপা। তিনি জানান, রাত অবধি কোনও পক্ষই অভিযোগ করেননি। লিটন গ্যারাজ কর্মী ছিলেন। এলাকাটি ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। স্থানীয় তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারি জানান, স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে সমস্যা ছিল বলে শোনা গিয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে রূপোর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত। তাই প্রায়ই সে বাপের বাড়ি এসে থাকত।