অনিয়ম: লকডাউনের রাস্তায় দেখা গেল এমনই ছবি। শুক্রবার। ছবি: নারায়ণ দে
শুধু দোকানপাট এবং বাজার বন্ধ। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ার শহরে লকডাউন মানা নিয়ে বাসিন্দাদের কারও কোনও হুঁশ নেই। লকডাউনের চতুর্থ দিনেও তাই শহরে যেন লকডাউন ভাঙার প্রতিযোগিতা চলল। এমনটাই অভিযোগ শহরবাসীদের একাংশের।
তাঁরা জানিয়েছে, এ দিনও সকাল থেকে রাস্তায় অটো, রিকশা, টোটো, মোটরবাইকের দাপাদাপি চলল। সরকারি সুফল বাংলার স্টলে এদিনও ভিড় ছিল। অভিযোগ উঠেছে, অথচ পুলিশকে কড়া হতে দেখা গেল না এক বারের জন্যেও, এমনটাই অভিযোগ শহরবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, অলিতে-গলিতে আনাজের দোকান বসেছে। পানের দোকানও খুলেছে। মোড়ে মোড়ে আড্ডাও দিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। রাস্তায় অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। তবে শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে অবশ্য পুলিশকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি লকডাউনের দিনে পুলিশ যে ভাবে কড়া মনোভাব নেয়, স্থানীয় প্রসাশনের ডাকা লকডাউনে তেমনটা দেখা যায় না। ওই দিনগুলিতে পুলিশ রীতিমতো ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়েই চলে বলে বাসিন্দাদের অভিমত। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শহরে। শহরবাসীর প্রশ্ন, লকডাউন যদি এভাবে ভাঙাই হবে তা হলে, এই লকডাউন করার প্রয়োজন কি? শহরের ব্যবসায়ীরাও এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, শুধু কি ব্যবসায়ীদের লকডাউন মানার দায়?
চলতি সপ্তাহে ৫ এবং ৮ অগস্ট দু’দিন সরকার ঘোষিত লকডাউন। জেলায় সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় সরকারি লকডাউনের বাইরে গিয়ে ৪, ৬ ও ৭ অগস্ট স্থানীয়ভাবে লকডাউন ডাকা হয়। ব্যবসায়ী সংগঠন এবং আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন এলাকায় এমন লকডাউন ঘোষণা করে। শহরবাসীর অভিযোগ, শুক্রবারেও লকডাউন উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা গেল একদল মানুষের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার লকডাউন ভঙ্গ করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার শহরে কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, এ দিন শহরে সবাই লকডাউন মেনে চলেছেন, তাই কাউকে গ্রেফতার করতে হয়নি। তবে জেলার জয়গাঁয় পাঁচ, কালচিনিতে চার, শামুকতলায় লকডাউন ভঙ্গ করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।