—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আট বছর পর আবার বন্ধ পাহাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য পাহাড়ে বন্ধের ডাক দিল চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। পুজোর আগে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বন্ধ ডেকেছে তারা। জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপার দল জানিয়েছে, তারা বন্ধের বিরোধিতা বা সমর্থন কোনওটাই করছে না। শ্রমিকদের পাশে রয়েছে তারা।
রবিবার চা বাগান শ্রমিকদের বোনাসের দাবিতে চতুর্থ বার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় দাগাপুরের শ্রমিক ভবনে। ট্রেড ইউনিয়নগুলি ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ জানিয়ে দেয়, ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়। আগের তিনটির মতো রবিবারের বৈঠকও ভেস্তে যায়। তার পরেই শ্রমিক ভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন সংগঠনের সদস্যেরা। আটটি শ্রমিক সংগঠন যৌথ ভাবে সোমবার ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দেয়। ফলে এর পর টি এডভাইসারি কমিটি এবং রাজ্যের শ্রম দফতরকে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ধস এবং বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রবিবার শিলিগুড়ি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই চা শ্রমিক সংগঠনের এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়া এবং পাহাড়ে তাদের বন্ধ ডাকায় রাজ্যের শাসকদল, জিটিএ এবং শ্রম দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর সম্পাদক ও দার্জিলিং জেলা সিপিএমের নেতা সমন পাঠক বলেন, ‘‘মালিকেরা কোনও ভাবেই শ্রমিকদের ভাল চান না। পূজোর মুখে শ্রমিকদের অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এখন দর কষাকষির কোনও জায়গা নেই। আমাদের একটাই দাবি, শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। আর এই দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার পাহাড়ে বন্ধ ডাকা হয়েছে।’’ হিল তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভক্তিমান তামাং বলেন, ‘‘চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে আমাদের লড়াই চলবে। আটটি ট্রেড ইউনিয়ন মিলে সোমবার সকাল থেকে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে।’’ এই বিষয়ে অনীতের দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘আমরা বন্ধের বিরোধিতাও করছি না, আবার সমর্থনও করছি না। আমরা শ্রমিকদের পাশে রয়েছি। আগামী কাল ফের একটা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব৷’’