Cooch Behar

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও রাজস্ব নিয়ে ধোঁয়াশা

রবীন্দ্রনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির জন্য বর্ধিত কর প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তা বন্ধ রয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের কোনও কর বৃদ্ধি হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:৫৯
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

‘নবান্ন’-এর বৈঠক থেকে বর্ধিত রাজস্ব বা কর প্রত্যাহার নিয়ে কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘সরকারের অনুমতি ছাড়া, কোনও ট্যাক্স বাড়বে না।’’ তার পরেও রাজস্ব কমাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির দাবি, এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কর। তাতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সূরজ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘ব্যবসায়ীদের যে হারে কর বাড়ানো হয়েছে, তাতে সবাই অসুবিধায় পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে আমরা আশাবাদী। কিন্তু নতুন করে এখনও কিছু জানানো হয় হয়নি।’’

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির জন্য বর্ধিত কর প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তা বন্ধ রয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের কোনও কর বৃদ্ধি হয়নি। যারা পুরসভার জায়গায় ব্যবসা করেন, তাঁদের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজস্ব বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশ মতো তা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু পুরসভার যে স্টল রয়েছে, সেগুলির ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছে।’’

বেশ কয়েক মাস ধরে রাজস্ব বৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুরসভার বিরোধ চরমে পৌঁছয়। মিটিং-মিছিলের পরে, কোচবিহারে ব্যবসা বন‌্ধ পর্যন্ত পালন করে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি। তার পরেও অবশ্য সমস্যা সমাধান হয়নি। পুরসভা নিজের যুক্তিতে অনড় থাকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে, কোচবিহারে বন্‌ধ পালন করে ব্যবসায়ী সমিতি। বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি সেই বন্‌ধকে সমর্থনও করে। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দেখা যায়, শহরাঞ্চলে তৃণমূলের থেকে অনেক ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই তিনি নবান্নে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ও আধিকারিকদের বৈঠক করেন। দলের একটি অংশ মনে করছে, শহরের মানুষ ঠিক কোন-কোন জায়গায় ক্ষুব্ধ তা নিয়ে পর্যালোচনা করেই মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠক করেছেন। আর তাতে শহরের মানুষকে কাছে টানতে কী-কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাই তিনি বৈঠক থেকে জানিয়ে দেন। ওই বৈঠক থেকেই কর বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement