সুব্রত বক্সী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে যুব এবং তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্বে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। দু’পক্ষের মধ্যে মতভেদ একাধিকবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যে জেলায় উত্তরোত্তর বাড়বৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির, সেখানে কোন্দলে যাতে যাত্রাভঙ্গ না হয়, তাতেই এ বারে জোর দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী। সামনের ৮ জানুয়ারি কোচবিহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তার পরে ব্রিগেডের সভা। তার আগে যাতে দলের যুযুধান শিবিরের নেতারা মিলেমিশে কাজ করেন, তার পরামর্শই দিয়ে গেলেন সুব্রত বক্সী।
দল সূত্রে খবর, শুক্রবার কোচবিহারে দলের একটি কর্মিসভায় যোগ দিতে কোচবিহারে আসেন সুব্রত। রাতে দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেন।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে চলতে বলেছেন তিনি।” কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা সবাই একসঙ্গেই রয়েছি। নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে তা আরও জোরদার করা হবে।”
দল সূত্রে খবর, এই জেলায় কোন্দল নিয়ে উদ্বিগ্ন দলীয় নেতৃত্ব। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত সভাতেও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছেন, ‘‘আমি নতুন দলে এসেছি সে কথা বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়। মনে করিয়ে দেওয়া হয় আমার সীমাবদ্ধতার কথাও।’’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সাংগঠনিক ভিত আরও মজবুত করতে মিলেমিশে কাজের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের কোচবিহার ১ ব্লক সভাপতি খোকন মিঁয়া বলেন, “আরও ভালভাবে সাংগঠনিক কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি। নেতৃত্বের সব নির্দেশ মেনে আমরা আগেও চলেছি আগামীতেও চলব।”
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, সংগঠন চাঙ্গা করতে কোচবিহার শহর ব্লক তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসেবেও প্রবীণ নেতা নিরঞ্জন দত্তকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েদেন সুব্রতবাবু। নিরঞ্জনবাবু বলেন, “আমি প্রথম থেকেই দলের একনিষ্ঠ কর্মী। জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে কোচবিহার শহরে সংগঠন সাজিয়ে তোলার কাজে নামব।” তিনি জানান, সুব্রতবাবু শনিবার সকালে কোচবিহার থেকে রওনা হন। দলের এক নেতার কথায়, শহরের একাধিক ওয়ার্ডে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ভাল ফল করেছে। ওই ছবিটাও বদলে দিতে জোর দিচ্ছেন নেতৃত্ব। যা নতুন শহর সভাপতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।