পাচার থেকে শুরু করে চোরাচালানের সমস্যা মেটানোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব উঠল সার্ক আইন কনক্লেভে।
গত শনিবার নেপালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। রবিবারও পাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভুটানের প্রতিনিধিরা। কনক্লেভে সার্কভুক্ত দেশগুলির পড়ুয়াদের জন্য একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাবও আলোচিত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রবিবারই কনক্লেভে যোগ দিয়েছিলেন। কনক্লেভের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘‘সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। সেই ভূমিকা পালন করলেই দেশের গণতন্ত্র, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ তিনি আরও জানান, সকলের সচেতনতাই সমাজের সব অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পারে।
পাচারের প্রসঙ্গ তোলেন নেপালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান তথা সেখানকার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অনুপরাজ শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘শিশু-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মানব পাচার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ভারত সর্বত্রই রয়েছে পাচারের সমস্যা।’’ সীমান্তে পারাপারের জন্য রমরমিয়ে ঘুষের কারবার চলছে বলে গত শনিবারও কনক্লেভে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনুপরাজ শর্মা। সেই ঘুষের কারবারে নিরাপত্তা রক্ষীদের একাংশ জড়িত বলে এবং এর ফলেই চোরাচালানের সমস্যাও বাড়ছে বলে তাঁর অভিযোগ। ভারত-নেপাল সীমান্ত পারাপারে পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন হয় না। কনক্লেভে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিনাকী ঘোষ, বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, জয়মাল্য বাগচী-সহ নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা। আয়োজক ইন্ডিয়ান ইনস্টিউট অব লিগাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান জয়জিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘সার্কদেশগুলির পড়ুয়াদের জন্য আইন কলেজ-সহ নানা প্রস্তাব আলোচিত হয়েছে। সব প্রস্তাব যথাযথ ভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’’