Sourced by the ABP
বাংলাদেশ অস্থিরতায় সীমান্তে বেড়েছে কড়া নজর। সন্ধ্যে থেকেই ড্রোন উড়ছে কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্তে। চলছে নাইট ভিশন ক্যামেরাতেও নজরদারি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, ‘‘সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাতভর সীমান্তে জওয়াদের পাশাপাশি নাইট ভিসন ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ড্রোন দিয়েও নজরদারি চলছে।’’ বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিযারের এক কর্তা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রভাবে সীমান্তে
যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’
দিন তিনেক আগে জলপাইগুড়িতে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে এক বাংলাদেশি। কোচবিহারের দিনহাটা গীতালদহ সীমান্তের বিএসএফের ছোড়া রাবার বুলেটেও জখম হয়েছে এক বাংলাদেশি। তাকে কোচবিহারের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে বিএসএফের ৫৪৯ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যার অনেকটা অংশ কাঁটাতারহীন। সেই সব জায়গাতেই চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বেশি। বিএসএফ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পরে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের অনেক কর্মী জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। সেই সব দুষ্কৃতীদের ভারতে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। কিছু দিন ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে। তাতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও রয়েছে। সীমান্তে পাহারায় পুরুষদের সঙ্গে রয়েছেন মহিলা জওয়ানেরাও। সীমান্তে কর্তব্যরত এক মহিলা বিএসএফ জওয়ান বলেন, ‘‘দেশ রক্ষার শপথ নিয়ে বিএসএফের চাকরিতে যোগ দিয়েছি। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতেও আমরা কাজ করে যাবো।’’
মেখলিগঞ্জ থেকে কুচলিবাড়ি প্রায় ১৮ কিলোমিটারের খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই খোলা সীমান্ত দুষ্কৃতীদের নজরে আসতে পারে। তাই সেই সীমান্তে দিনে এবং রাতে ড্রোন দিয়ে নিরাপত্তা চলছে। কিছু দূর পর পরেই বসানো হয়েছে নাইট ভিশন ক্যামেরা। দিনহাটার একাধিক এলাকাতেও কাঁটাতার নেই। বিশেষ করে দিনহাটার নাজিরহাট, গীতালদহ এলাকার সীমান্তে কাঁটাতার নেই। গীতালদহের অনেকটা জায়গা আবার নদীপথ।
সেই সব খোলা সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।