পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা
Schools

school: ওরা ফিরবে তো স্কুলে, প্রশ্ন উদ্বিগ্ন শিক্ষকদের

জেলা প্রশাসনের দাবি, যে সমীক্ষাটি হচ্ছে সেটি শিশু নিবন্ধীকরণ। শিশুদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সমীক্ষায় লেখা হচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫৯
Share:

দায়বদ্ধ: কয়েকজন শিক্ষক জলপাইগুড়ি লাগোয়া এলাকায় পড়ুয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন। ছবি: সন্দীপ পাল।

অনির্বাণ রায় জলপাইগুড়ি

Advertisement

মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে?

উত্তর এল: ক্লাস সিক্সে।

Advertisement

এখন কী করে?

মায়ের উত্তর: পড়াশোনা তো প্রায় বন্ধই। বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে আনাজ বিক্রি করতে যায়।

স্কুল খুললে মেয়ে কী করবে?

এ বার মা বললেন: আনাজ বিক্রি করতে পাঠাব না। মেয়ে স্কুলেই যাবে।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে এক অভিভাবক এবং কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে কথোপকথনের সারাংশ।

১৬ নভেম্বর রাজ্যে নবম শ্রেণি থেকে স্কুল খুলছে। কিন্তু পড়ুয়ারা আবার স্কুলে ফিরবে তো? বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রশ্নই করছেন চিন্তিত শিক্ষকেরা। জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সমীক্ষা। স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই শুরু হয়েছে সমীক্ষা। করোনাআবহে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। নবম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হলেও প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা কবে থেকে স্কুলে যেতে পারবে তা এখনও অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে স্কুলছুটের সংখ্যা কী হারে বাড়ল তার একটি ছবি এই সমীক্ষায় পরিষ্কার হবে বলে দাবি শিক্ষক মহলের।

করোনা কালে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা শিক্ষকদের অনেকেরই। যদিও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া শিক্ষকদের দাবি, অভিভাবকদের বেশিরভাগই তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। এ দিন জলপাইগুড়ির করলা পাড়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন শিক্ষকেরা। এলাকার পড়ুয়াদের অনেকেই বাবা বা মায়ের সঙ্গে কাজে যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছে সমীক্ষক দলটি। যদিও অভিভাবকেরা অনেকেই স্বীকার করেছেন, করোনা কালে বেশিরভাগ পড়ুয়ার পড়াশোনা বন্ধ ছিল। অনেকেই পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে উপার্জনের কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তাঁরা এও বলছেন যে, স্কুল খুললে অবশ্যই পড়তে পাঠাবেন।

জেলা প্রশাসনের দাবি, যে সমীক্ষাটি হচ্ছে সেটি শিশু নিবন্ধীকরণ। শিশুদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সমীক্ষায় লেখা হচ্ছে। স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকেরা সমীক্ষা করছে। করোনা কালে সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা বন্ধ এবং পড়ুয়াদের ফের স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের আগ্রহের কথাও।

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ‘‘শিশুদের তথ্যপঞ্জি তৈরি হচ্ছে। করোনা আবহে যে তথ্য উঠে আসবে। তা খুবই কাজে লাগবে।’’

চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সব তথ্য চেয়েছে শিক্ষা দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement