ফাইল চিত্র।
ফের বিতর্কের মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। অভিযোগ উঠেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি কোচবিহারের ভেটাগুড়ি লাল বাহাদুর স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একটি প্রাথমিক স্কুলের সহকারি শিক্ষক। কিন্তু কোন ক্লাস পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছেন, তা নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই অন্য দুই প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং অজয় কুমার মিশ্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ওয়েবসাইটে স্পষ্ট ভাবেই সব উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে কেন নিশীথের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল।
প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একেক জায়গায় একেক রকম তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এত লুকোচুরি হচ্ছে কেন? বুঝতে পারছি না। এটাই স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।” নিশীথকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও উত্তর দেননি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “আমি আগেও একাধিক বার বলেছি কোচবিহারের মতো জায়গা থেকে একজন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করবে কেন্দ্রীয় সরকার তা কেউ ভাবতে পারেনি। তা সহ্য না হওয়াতেই নানা রকম প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কারও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আগ্রহ থাকলে তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে জেনে নিতে পারেন।”
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটায় প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ। তিনি ৫৭ ভোটে জয়ী হন। পরে অবশ্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই বিধানসভার হলফনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, তিনি মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আবার লোকসভার ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, তিনি বিসিএ (ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন) করেছেন। আবার স্বরাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি সর্বোচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন ভেটাগুড়ি লাল বাহাদূর হাইস্কুল থেকে।
ওই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। কিন্তু নিশীথ কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তা ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়নি। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একাধিক বিতর্ক উঠতে শুরু করে। নিশীথ বাংলাদেশের বাসিন্দা বলেও অভিযোগ করে বিরোধী দলগুলি। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বরা। এ নিয়ে সংসদেও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদরা। নিশীথ অবশ্য কোনও বিষয়েই এখনও মুখ খোলেননি। বিজেপির কোচবিহার জেলার এক নেতা বলেন, “এ সব মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর কিছু বিষয়ের উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।”