Covid

COVID: চতুর্থ ঢেউয়ের গতি বুঝতে বিশেষ নজরদারি ৩ দিন

দিল্লিতে সংক্রমণ ইতিমধ্যই বাড়তে শুরু করেছে। জুলাই-অগস্টে রাজ্যেও ফের সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তে পারে বলে স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের ধারণা।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। দিল্লিতে সংক্রমণ ইতিমধ্যই বাড়তে শুরু করেছে। জুলাই-অগস্টে রাজ্যেও ফের সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তে পারে বলে স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের ধারণা। এই পরিস্থিতিতে আগে ভাগে কোভিড সংক্রমণের গতি বুঝতে ‘সেন্টিনেল সার্ভিল্যান্স’ চালান হবে কোচবিহারে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতে কোচবিহারে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ আগেই শূন্যে নেমে এসেছে। আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ওই নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি এপ্রিলে টানা তিন দিন নজরদারি চলবে। ২৬-২৮ এপ্রিল ওই কাজ হবে। এক স্বাস্থ্য কর্তা জানান, ‘সেন্টিনেল সার্ভিল্যান্স’-এর মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে অন্তত ৪০০ জন বাসিন্দার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেখানে নানা এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত রয়েছে। ফলে ওই পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও এলাকায় সংক্রমণ রয়েছে কী না সহজে সেই ইঙ্গিত মিলবে। নজরদারির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, “জেলা এখন কোভিড শূন্য। সাধারণ ভাবে যাতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা না কমে যায় সে ব্যাপারেও বলা হয়েছে। এ বার টানা তিন দিন সেন্টিন্যাল সার্ভিল্যান্সও করা হবে।” কোচবিহারের ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, “ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে সেন্টিনেল সার্ভিল্যান্স করা হবে। ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। কর্মীরাও প্রস্তুত।’’

Advertisement

কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সময় কোচবিহারের ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কোভিড বিভাগ চালু করা হয়েছিল। সংক্রমণ শূন্যে নেমে আসায় ওই বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলা জুড়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। চতুর্থ ঢেউয়ের চোখ রাঙানির আশঙ্কা নিয়ে চর্চা শুরু হলেও আমজনতার বড় অংশের মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তা, চিকিৎসকদের একাংশ উদ্বেগের কথাও বলছেন। এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘যেখানে মাস্ক পরা নিয়ে এমন উদাসীনতার অভিযোগ, সেখানে সেন্টিনেল সার্ভিল্যান্সে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অন্তত ৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে তো?’’ কোচবিহার ছাড়াও রাজ্যের অন্য জেলাতেও ওই সার্ভিল্যান্স হওয়ার কথা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement