৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংকেত পাড়ায় এভাবেই ড্রেনের জলে জন্মেছে মশা ছবি অমিত মোহান্ত। —নিজস্ব চিত্র।
এখনও ডেঙ্গির সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু তা খানিকটা কমতেই যেন উদাসীনতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জেলা সদর বালুরঘাট শহরেই। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, নর্দমার পরিষ্কার জমা জলের উপরেই খালি চোখে উড়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে মশা। বালুরঘাট পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্কেতপাড়ায় এ ছবি ধরা পড়েছে। কেবল ৪ নম্বর নয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা এবং ড্রেনের নর্দমার ভেতরে জমা পরিষ্কার জল এখনও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ডেঙ্গির ক্ষেত্রে।
জেলায় এখনও সপ্তাহে অন্তত ১০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। বাদ নেই বালুরঘাট শহরও। রবিবার বালুরঘাটের ১ নম্বর ওয়ার্ডে পাওয়ার হাউস বাজার সংলগ্ন এলাকায় নর্দমার পরিষ্কার জল উপচে রাস্তায় উঠতে দেখা গিয়েছে। উত্তমাশার কাছে আদর্শ স্কুলের মাঠ সংলগ্ন ২ নম্বর ওয়ার্ডে জঞ্জালের স্তূপ নজরে এল। সেই সঙ্গে হাই ড্রেনে জমে রয়েছে জল। তবে বাকি সবগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড। শিবতলী ক্লাবের উল্টো দিকের গলি থেকে শুরু করে সংকেত পাড়ায় নর্দমায় পরিষ্কার জল জমে রয়েছে। ওয়ার্ডের একাধিক নর্দমার নিকাশি বেহাল। কাউন্সিলর কি আদৌ এলাকায় ঘুরছেন? যদিও, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীতা নন্দীর দাবি, এ রকম কিছু তাঁর নজরে আসেনি। তিনি বলেন, ‘‘যদি এ রকম হয়ে থাকে, আমরা নজর দিচ্ছি।’’
খোদ চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড ৫ নম্বরে নির্মীয়মাণ বাড়ির সামগ্রীতে ড্রেনের মুখ বুজে গিয়েছে। জমতে শুরু করেছে জল। যদিও, চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘‘জল জমলেও নিয়মিত ভাবে স্প্রে ছড়ানো হচ্ছে। জল জমার খবর পেলেই তা বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বালুরঘাট আদালত সংলগ্ন নর্দমায় জমেছে জল এবং আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহেশ পারেখ বলেছেন, ‘‘২৫টি ওয়ার্ডেই নিকাশির দিকে নজর দিচ্ছি আমরা। স্প্রে ছড়ানো হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’