ছেলের হাঁসুয়ার কোপ, মা জখম

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছেন কটুরি মার্ডির স্বামী জ্যাঠা মুর্মু। তাঁদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে, প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পেট চালাতে কটুরি মাঝে মাঝে অন্যের জমিতে দিন মজুরি করেন। আর তাঁর ছেলে প্রদীপও শ্রমিকের কাজ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠলো ছেলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আক্রান্ত মহিলা কুটরি মার্ডি গুরুতর জখম অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার রাতে মালদহের হবিবপুর থানার কন্যাডুবি গ্রামে ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত প্রদীপ মুর্মুকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছেন কটুরি মার্ডির স্বামী জ্যাঠা মুর্মু। তাঁদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে, প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পেট চালাতে কটুরি মাঝে মাঝে অন্যের জমিতে দিন মজুরি করেন। আর তাঁর ছেলে প্রদীপও শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ, প্রতিদিনই নেশা করে প্রদীপ। টাকা দাবি করে মাকে গালিগালাজ করে। এই নিয়ে নিত্যই অশান্তি চলে পরিবারে।

Advertisement

এ দিন রাত ন’টা নাগাদ প্রদীপ তাঁর মায়ের কাছে ১০০ টাকা দাবি করে। অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে মাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। মহিলার মাথা ও বাঁ হাতের আঘাত গুরুতর। হইচই শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় কটুরিকে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করে দেন ।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত প্রদীপকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রদীপের মায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রায় আমাকে গালিগালাজ, মারধর করত। তবে টাকার জন্য হাঁসুয়ার কোপ দেবে ভাবতে পারিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement