মানিকচকে ভাঙনের ভয়। — নিজস্ব চিত্র।
জনবসতির দিকে ধাপে ধাপে রোজ এগিয়ে যাচ্ছে নদী। বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠল। গঙ্গা ভাঙনের এই ভয়াবহ ছবি দেখা গেল মালদহের মানিকচকের গোপালপুরে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। মালদহের গঙ্গা ভাঙন রোধে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে বিজেপিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মানিকচকের গোপালপুর এলাকার শান্তিমোড়, সহবতটোলায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গঙ্গা থেকে বাঁধের দূরত্ব এখন মাত্র ১০০ মিটারের মতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে হারে ভাঙন চলছে, তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাঁধের খুব কাছে চলে আসবে গঙ্গা। যার ফলে ঘরবাড়ি, চাষের জমি গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আব্বাস শেখ নামে সহবতটোলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আজ ভোর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। ১৫-২০ মিটার জমি গঙ্গায় চলে গিয়েছে। এমন চলতে থাকলে আমাদের ঘরবাড়িও ভাঙনের কবলে চলে যাবে।’’
মালদহের গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রফিকুল আলম বলেন, ‘‘আজ ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে ভাঙন চলে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার মিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করুক। এটাই আমরা চাই।’’
এ নিয়ে রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘যেখানে ভাঙন চলছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ করছে না। রাজ্য সরকার তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কাজ করার চেষ্টা করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বহু বার দরবার করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। চিঠি দিয়েছেন। তবুও ঘুম ভাঙেনি মোদী সরকারের।’’
সাবিনাকে পাল্টা নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপি দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘ভাঙন প্রতিরোধের কাজের টাকা লুট হলে এমন ঘটনা প্রতি বছরই ঘটবে। পরিকল্পনাহীন ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে।’’