আয়ুবের ঘরে গোখরোর সংসার

আতঙ্কে স্ত্রীকে ডাকতে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই ফের চমকালেন তিনি। তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে আরও একটি গোখরো। এখানেই শেষ নয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে এল আরও একটি বড় গোখরো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ১০:১০
Share:

সাতসকালে সবে কাজে বেরোচ্ছিলেন আয়ুব আলি। ভ্যানটায় সবে হাত দিয়েছেন। তখনই বাড়ির উঠোনে চোখ পড়তেই তাঁর পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়। উঠোনে তখন একটি ছোট গোখরোকে তাড়া করছিল বড় একটি গোখরো।

Advertisement

আতঙ্কে স্ত্রীকে ডাকতে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই ফের চমকালেন তিনি। তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে আরও একটি গোখরো। এখানেই শেষ নয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে এল আরও একটি বড় গোখরো। সেটার পিছু পিছু গোটা চোদ্দো গোখরোর ছানা।

সেই দৃশ্য দেখার পর আতঙ্কে ঘাম ঝরতে শুরু করেছে পেশায় ভ্যানচালক মালদহের চাঁচলের মানিকনগরের আয়ুব আলির। ৃকোনওমতে ওই ঘরেই থাকা স্ত্রীকে ডাকতে শুরু করেন তিনি। তাঁর আর্ত চিৎকারে পড়শিরা ছুটে এসে দেখে উঠোনে কিলবিল করছে প্রায় ১৮টি গোখরো।

Advertisement

এরপর বাসিন্দাদের একজন বনদফতরকে খবর দেয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাদেও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। তখন খবর দেওয়া হয় সাপুড়েদের। তাঁরাই এসে সাপগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকনগরে মাটির বাড়িতে স্ত্রী রুলি বিবিকে নিয়ে থাকেন আয়ুব আলি। ছেলে ভিনরাজ্য শ্রমিক। তাঁর শোওয়ার ঘরে বেশ কিছু ছোটবড় গর্ত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সেগুলো ইঁদুরের গর্ত ভেবে মাথা ঘামায়নি। কে জানত সাপ থাকে।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’টি গোখরো লম্বায় প্রায় ছয় ফুট। আর বাকিগুলো বেশ ছোট। এতদিন ধরে তাঁরা যে গোখরোর সঙ্গে বসবাস করছিলেন তা ভাবলেই শিউরে উঠছেন আয়ুব। আয়ুব বলেন, ‘‘সাপুড়েরা বলেছে আর কোনও সাপ নেই। তারপরেও ঘরে ঢুকতেই আতঙ্ক হচ্ছে। রাতের ঘুম তো দূরের কথা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement