তুষারশুভ্র: পোষ্যের সঙ্গে খেলা। দার্জিলিঙের টংলুতে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
মানেভঞ্জন পেরোলেই যত দূর চোখ যায় সাদা হয়ে আছে। বরফ কুচিতে সেজেছে চিত্রে থেকে সান্দাকফুর পথের ধারের চিরসবুজ পাইনও। যেন বরফের চাদরের নীচে ঘুমিয়ে পড়েছে দার্জিলিং। সৌজন্য, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
দার্জিলিং শহর কিংবা টাইগার হিলে তুষারপাত হয়নি। তবে জেলার সর্বোচ্চ এলাকায় তুষারপাতের সৌজন্যে হাড় হিম করা বাতাস বইছে গোটা দার্জিলিঙেই। তাতে মার্চের শেষাশেষিও কুইন অব হিলসের জনজীবনেও ঘুম-ঘুম ভাব। তার আমেজ রয়েছে সমতল শিলিগুড়িতেও। দার্জিলিং শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বললেন, ‘‘মার্চে সান্দাকফুতে বরফ পড়াটা নতুন কিছু নয়। তবে চিত্রের মতো অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় গত ১০ বছরের মধ্যে তুষারপাত হয়নি।’’
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন প্রধান সুবীর সরকার বলেন, ‘‘যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপস্থিতির কারণে শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই অনেকটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।’’
নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থানে গত কয়েক দিন তুষারপাত চলছে সিকিমের উঁচু এলাকাগুলিতে। উত্তর সিকিমের কিছু এলাকায় রবিবার ভোরে তুষারপাত হয়। এ দিন দুপুরের পরে লাচেন, লাচুঙে দুপুরের পরও তুষারপাত হয়। যেখানে তুষারপাত হয়নি সেখানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। সিকিমের ছাঙ্গু-না থুলা এলাকায় তুষারপাত চলছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘নিম্নচাপের জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ছুটে আসছে বলে দুর্যোগ চলছে। দু’দিন পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার কথা।