পুরস্বাস্থ্যে সাহায্য বেসরকারি হাসপাতালের

শনিবার পুরভবনে শহরের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কর্তারা।

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৩৫
Share:

শিলিগুড়ি পুরসভা।

নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য শহরে একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে পুরসভার। পুরসভার মাতৃসদন, ৬০টি সাব হেল্থ পোস্ট রয়েছে। এছাড়াও ১০টি আপার প্রাইমারি হেল্থ সেন্টারও রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে কার্যত অকেজো হয়ে রয়েছে বেশিরভাগ হেল্থ পোস্ট। ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না হেল্থ সেন্টারগুলোতেও। এই পরিস্থিতিতে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকমতো চালাতে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলোর সহযোগিতা নিচ্ছে পুরসভা।

Advertisement

শনিবার পুরভবনে শহরের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ, পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া ও অন্য কর্তারা।

পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, নার্সিংহোমগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ও আরও নানাভাবে পুরসভাকে সহযোগিতা করবে বলে বৈঠকে ঠিক হয়েছে। যদিও এরজন্য পুরসভা ও নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে কোনও লিখিত চুক্তি হচ্ছে না। ‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি’ হিসেবেই পুরসভাগুলোকে এই বেসরকারি হাসপাতালগুলো সাহায্য করবে।

Advertisement

কী ভাবে করা হবে এই সাহায্য? মেয়র জানান, প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ হেল্থ পোস্টগুলোয় সপ্তাহে এক বা একাধিক দিন চিকিৎসক পাঠাবেন। ওই চিকিৎসকরা বিনামূল্যে রোগীদের দেখবেন। ডেঙ্গি-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরেও চিকিৎসক দিয়ে সহযোগিতা করবে নার্সিংহোমগুলো। এছাড়া পরিকাঠামোগত সাহায্যও করা হবে। এর ফলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান অনেকটাই বাড়বে বলে আশা পুর কর্তৃপক্ষের।

মেয়র জানান তাঁদের প্রস্তাবে নার্সিংহোমগুলোর কর্তৃপক্ষ সম্মতি জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পুর এলাকার বহু গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।’’ একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার কৌশিক হালদার বলেন, ‘‘পুরসভা খুবই ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। যৌথ উদ্যোগেই শহরের সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চোখ পরীক্ষা ও অপারেশনের জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা শুরু করেছেন পুরকর্তারা। তাদের সঙ্গেও যৌথ উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চোখের চিকিৎসায় বিশেষ পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘২০ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ থাকলেও এখন মাত্র ৯ জন আছেন। ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে নার্সিংহোমগুলোর সহযোগিতা অত্যন্ত সহায়ক হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement