প্রতীকী ছবি।
নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যায় ভাই। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেল দিদিও। ওই ঘটনায় জলে ডুবে ভাই ও দিদির। রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানার শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙাবাড়ি লাগোয়া দুহাবাড়ির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রামের বাসিন্দা মৃত দুই ভাইবোন সাগর প্রামাণিক (১১) ও সুস্মিতা প্রামাণিক (১৬) বিন্দোল হাইস্কুলে পঞ্চম ও নবম শ্রেণিতে পড়ত। শুক্রবার তারা মা-বাবার সঙ্গে দুহাবাড়িতে পিসির বাড়ির একটি অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল। এ দিন বিকেলে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে তাদের দেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘জলে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সাগর ও সুস্মিতার মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে।’’
শুক্রবার সাগর ও সুস্মিতা তাদের মা-বাবা ঝুমা ও স্বপনের সঙ্গে পিসির নাতির অন্নপ্রাশনে যায়। পরিবারের দাবি, এ দিন দুপুরে সাগর ও সুস্মিতা বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে লাড্ডু কিনে খাওয়ার নাম করে পিসির বাড়ি থেকে বার হয়। এর পরে ওই এলাকার কয়েক জন কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে নদীতে স্নান করার জন্য প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নাগর নদীর ধারে যায়। নদীতে স্নান করার সময়েই আচমকা সে তলিয়ে যায়। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে তা দেখে ভাইকে বাঁচাতে নদীতে নামে সুস্মিতাও। কিন্তু সেও তলিয়ে যায়। সেই সময় সঙ্গের কিশোর-কিশোরীরা তাদের বাঁচানোর জন্য বাসিন্দাদের ডাকতে থাকে। বাসিন্দারা এসে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাগর ও সুস্মিতাকে উদ্ধার করেন। তাঁরা তাদের রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
সাগর-সুস্মিতার পিসেমশাই গোপেন শীল জানান, তারা সাঁতার জানত না। বাড়িতে না জানিয়েই তারা নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। স্বপন বলেন, ‘‘আগে জানতে পারলে কখনওই ওদের যেতে দিতাম না।’’
বিন্দোলের পঞ্চায়েত প্রধান লায়লা খাতুন জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।