শো-কজ সাত আমলাকে

স্থায়ী সমিতির বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় জেলার সাত আমলাকে শো-কজ করল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বোর্ড। এই নির্দেশকে ঘিরেই আপাতত তোলপাড় জেলা প্রশাসন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৩১
Share:

ফাইল ছবি

স্থায়ী সমিতির বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় জেলার সাত আমলাকে শো-কজ করল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বোর্ড। এই নির্দেশকে ঘিরেই আপাতত তোলপাড় জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বুধবার জেলা পরিষদের দুটি স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল কৃষি, সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও এই সমিতির সদস্য সংখ্যা ২১। বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকেরা এই সমিতিগুলির সদস্য হন। এ দিনের বৈঠকে জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন সেল তথা ডিআরডিসির প্রকল্প আধিকারিক, সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার-সহ সমবায়, কৃষি-সেচ, মৎস্য, ভূমি সংরক্ষণ, কৃষি বিপণন দফতরের মোট সাত জন কর্তা ছিলেন না।

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন সমিতির সভায় গুরুত্বপূর্ণ সাতটি দফতরের আধিকারিকদের অনুপস্থিত দেখে ক্ষুব্ধ হন জেলা পরিষদের সদস্যরা। সমিতির এক সদস্য আগের বোর্ডের সময়ের বিভিন্ন সভার হাজিরা খাতা দেখে মন্তব্য করেন, “এই দফতরগুলির আমলারা তো বারবার গরহাজির থেকেছেন। জেলা পরিষদকে গুরুত্ব না দিলে সকলকে এর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।” তার পরেই ঠিক হয় জেলা পরিষদের সচিব বীরবিক্রম রাই সকলকে শো-কজের নোটিশ পাঠাবেন। কেন বৈঠকে ছিলেন না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁদের জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের সবকটি আসনেই জেতে তৃণমূল। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ বিরোধী শূন্য হয়। নয়া বোর্ড গঠনের পর থেকেই নানা ভাবে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করছেন অনেকে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “সরকারি সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়। তবে জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। তার গুরুত্ব সকলকেই উপলব্ধি করতে হবে।” জেলা পরিষদের সচিব বীরবিক্রম রাই জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

জেলা পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ উপস্থিত না থাকলে প্রতিনিধি পাঠানোই প্রথা, অথবা আগে থেকে জানানো যায়। সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার জয়প্রকাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, তিনি সরকারি কাজেই কোচবিহারে ছিলেন। বাকি আধিকারিকরাও দাবি করেছেন, তাঁরা সরকারি নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

এ দিন বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতিরও বৈঠক ছিল। সেখানে জেলার সব হাটের ইজারা ও ভাড়া বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement