এ বার মিরিকের হ্রদে চলছে শিকারা। —নিজস্ব চিত্র।
‘এক টুকরো কাশ্মীরের’ স্বাদ উপভোগ করতে পর্যটকেরা এখন পাড়ি জমাচ্ছে শৈলশহর দার্জিলিংয়ের মিরিকে। পর্যটকদের কাছে বহুল পরিচিত মিরিক লেক। ঘোড়সওয়ারি থেকে লেকে বোট চালাতে চালাতে ছুটি উপভোগ, পর্যটকদের কাছে সব সময়েই আকর্ষণের। এ বার মিরিকে নতুন সংযোজন শিকারা। আপাতত দুটি শিকারা দিয়ে শুরু হলেও চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামিদিনেত আরও শিকারার যোগান দেবে পর্যটন দফতর।
এখন দার্জিলিঙে ঘুরতে এলে পর্যটকেরা এক টুকরো কাশ্মীরের স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন মিরিকে। কাশ্মীরের ডাললেকের মতো মিরিকেও চলছে শিকারা। জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যে আপ্লুত। কারণ, শিকারার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। মিরিকে দুটো শিকারা দিনভর বুকিং হচ্ছে। প্যাডেল বোটিং থাকলেও সকলের শিকারার প্রতি আগ্রহের ফলে কিছু দিনের মধ্যে আরও শিকারার সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে জিটিএ।
মিরিকে শিকারায় চড়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। বুকিং না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরছেন অনেকে। মুম্বই থেকে আসা রোহিত আইয়ার নামে এক পর্যটক যেমন। তিনি জানান, মিরিকে এসেছিলেন শিকারায় চড়বেন বলে। কিন্তু ভিড়ের জন্য ওঠা হল না। তিনি বলেন, ‘‘শিকারা চড়ব বলে আশা করে এসেছিলাম। কিন্তু, পারলাম না। কারণ, দুটোই মাত্র বুকিং ছিল।’’ আবার দার্জিলিঙে শিকারায় চড়তে পেরে কৃষ্ণনগরের বাসন্দা অমল তালুকদার দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগল। কাশ্মীরে যেতে পারব কি না তো জানি না। তাই এখানেই চড়ে নিলাম।’’
জন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে শিকারা চড়ার জন্য। তাতেও ব্যাপক চাহিদা। এ নিয়ে জিটিএ-র পর্যটন বিভাগের আধিকারিক দাওয়া গ্যালপো শেরপা বলেন, ‘‘চাহিদা তো রয়েছেই। পর্যটকেরা এসে ঘুরে চলে যাচ্ছেন, চড়তে না পেরে। এটায় খারাপ লাগছে। তবে আরও শিকারার সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে মিরিক। পাহাড়ের কোলে হ্রদে শিকারায় ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের কাছে এক টুকরো কাশ্মীরের মতো।’’