শিবশঙ্কর পাল। —ফাইল চিত্র।
যে রান তুলেছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা, তা নিয়ে লড়াই কতটা করা যায়? বাংলার বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল ওরফে ম্যাকো অবশ্য ভারতের ব্যাটিং শেষ হওয়ার পরে মনে করেছিলেন, এ রানেও লড়াই করা যাবে। জেলায় জেলায় বিরাট, রোহিতের ফ্যানদের অনেকেই যখন কিছুটা হতাশ, তখনও তিনি সেটা ভাবছেন কলকাতায় নিজের বাড়িতে বসে খেলা দেখতে দেখতে।
তবে দিনের শেষে যে ভাবে ট্র্যাভিস এবং মারনাস হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন তাতে অস্ট্রেলিয়ার গেম প্ল্যানিংয়ের তারিফ করেন ম্যাকো। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ভারতীয় স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। এ দিন ফাইনাল শেষে বলেন, ‘‘পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাই জানে, ম্যাচ কী ভাবে বার করতে হয়। শুরুতে ওরা রোহিতদের অনেক রান আটকে দিয়েছে। তা ছাড়া আমাদের ব্যাটিং আরও একটু ভাল করা যেত।" ম্যাকোর কথায়, ‘‘কোহলি, রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল বড় ইনিংস খেলতে পারত। অথচ তা না হওয়ায় ৪৭, ৫০ করে আউট হতে হয়েছে।’’
তাঁর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, কোচদের অনেকে মনে করেছিলেন, রোহিত-বিরাটেরা এই পিছে খেলতে অভ্যস্ত। তারাই যখন এই রান তুলেছে, তখন প্যাট কামিন্সদের এই রান তুলতে বেগ পেতে হবে। সেই যুক্তি অবশ্য টেকেনি এ দিনের মাঠে। এক লক্ষ ৩০ হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্ম মাঠে অস্ট্রেলীয়দের তাড়া করবে, সেই চাপও বড় কম নয়। প্রাক্তন ভারতীয় উইকেট রক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ফাইনালের আগেও ম্যাচ নিয়ে খুঁতখুতে ছিলেন। ম্যাচ নিয়ে প্রত্যাশা জানতে চাইলে শনিবার রাতে ম্যাচের ১৬ ঘণ্টা আগে বলেন, ‘‘আগের ম্যাচগুলোতে জিতেছে। তখন কিছু বলিনি। তাই ফাইনালে আগে জিতুক, তখন বলা যাবে।’’ এ দিন অবশ্য বিরাটদের হারের পর ঋদ্ধি আর কিছু বলতে চাননি। একই ভাবে এ দিন মন খারাপ রিচা ঘোষেরও। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেট কিপার তথা ব্যাটার শিলিগুড়ির রিচা বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট স্কোয়াডের সঙ্গে রয়েছেন। এ দিন ফাইনাল নিয়ে কিছু জানতে চাওয়া হলেও বলেননি।
শিলিগুড়িতে ঋদ্ধিমানের কোচ জয়ন্ত ভৌমিক এই দিন বলেন, ‘‘টস একটা ফ্যাক্টর। আমদাবাদের যা উইকেট আজ টসে জিতলে রোহিতরাও ফিল্ডিং নিত। শুরুতে নতুন বল, কুয়াশা ফ্যাক্টর। বল পড়ে স্কিড করে। তাতে আমাদের ব্যাটসম্যানরা শট নিতে পারেনি। অনেক ম্যাচ হেরে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ওঠার পর আজ তাদের অন্য চেহারায় দেখা গেল। প্রথম ধাপে তুলনাহীন খেলেছে। ভারত ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি মোটেই। তা ছাড়া অভিজ্ঞ কিপার দরকার ছিল বলে মনে করি।’’