৪৮ ঘণ্টায় সুর বদল

কিন্তু দাড়িভিট নিয়ে রাজনীতির লড়াইয়ে পদ্ম শিবির কি কিছুটা পিছু হঠে গিয়েছে? তা মেরামত করতে মাঠে নেমে পড়েছেন তাঁরা? সেই প্রশ্নই উঠছে এলাকার মানুষের মনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

গত বছর গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার। নিজস্ব চিত্র

কিছুতেই তো হচ্ছে না, তাই বিজেপি ছাড়বেন বলে ঘোষণা করেছিলেন গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট কাণ্ডে গুলিতে নিহত তাপস বর্মণের মা মঞ্জুদেবী। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর সুর বদলে গেল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে বিজেপির মন্ত্রী ফোন করেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারাও যোগাযোগ করেছিলেন।

Advertisement

আজ, ২০ সেপ্টেম্বর এক বছর পূর্তি হচ্ছে দাড়িভিট কাণ্ডের। সকাল থেকে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। সকালে ‘রান ফর জাস্টিস’ বা ন্যায় চেয়ে ম্যারাথন দিয়েই কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। বিজেপির দাবি, দিনটি ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করছে তারা।

কিন্তু দাড়িভিট নিয়ে রাজনীতির লড়াইয়ে পদ্ম শিবির কি কিছুটা পিছু হঠে গিয়েছে? তা মেরামত করতে মাঠে নেমে পড়েছেন তাঁরা? সেই প্রশ্নই উঠছে এলাকার মানুষের মনে।

Advertisement

তবে বৃহস্পতিবার অবশ্য মঞ্জুদেবী জানান, বিজেপির সঙ্গে থাকার কথাই বলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকারও।

শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে এক বছর আগে ২০ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দাড়িভিট হাইস্কুল। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই কলেজ পড়ুয়া তাপস ও রাজেশের। ঘটনার প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও দাড়িভিট কাণ্ডের কোনও তদন্ত হয়নি এমনটাই অভিযোগ রয়েছে নিহতদের পরিবারের। অভিযোগ, রাজ্যের পুলিশই গুলি ছুড়েছিল। এর পরে বিজেপি এই কাণ্ডকে সামনে রেখে ময়দান দখল করতে নামে। তৃণমূলও পাল্টা আন্দোলন শুরু করে।

মঞ্জুদেবী বিজেপি ছাড়ার যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, সে প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘তাঁরা গ্রামের সাধারণ মানুষ। বিজেপিতে রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছিল। তাই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন এদিন।’’ তবে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কে কোন দল ছাড়বে কোন দল করবে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’

বিজেপির এই কর্মসূচির পাশাপাশি, এ বার তৃণমূল কী করে সে দিকেও নজর রয়েছে এলাকার মানুষের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement