উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হল ২৫শে বৈশাখের রবীন্দ্র জন্মোৎসব। রবীন্দ্র গান, কবিতায় মুখরিত শোভাযাত্রায় ক্যাম্পাস পরিক্রমার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রবীন্দ্রনাথ-সহ ভানুভক্ত, রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিভাগীয় প্রধান উৎপল মণ্ডল, সুবোধকুমার যশ, নিখিলেশ রায়-সহ অন্যান্য শিক্ষক। মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডালিতে ছিল রবীন্দ্রনৃত্য ও কবিতা পাঠ। বিভাগের ছাত্রীদের পরিবেশিত ‘স্ত্রীর পত্র’ শ্রুতি নাটকটি ছিল উপভোগ্য। আমন্ত্রিত বক্তা অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত ও মুদ্রিত সাহিত্য বিষয়ে বহু গবেষণা হয়ে থাকলেও তাঁর পাণ্ডুলিপির যথার্থ গবেষণার প্রচুর অবকাশ রয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে আবিষ্কার করা যাবে। বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়েটিকে গবেষণার বিষয় করে তুলতে পারে।’’ পাশাপাশি মালদহে অনুষ্ঠিত হল শিল্পী সংসদের কবি প্রণাম। সকালে টাউন হলে রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শহরের শিল্পী ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষেরা। ‘আবৃত্তি শিক্ষা ও চর্চা কেন্দ্র’র উদ্যোগে প্রভাতফেরি শহর পরিক্রমা করে। প্রভাতী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বারোটি সাংস্কৃতিক সংস্থা। এই অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের গান, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন। সান্ধ্য অনুষ্ঠানে টাউন হলে আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে পীযূষ নাগ, অরুণ মহিন্তা, সুরথ দত্তরায় এবং বিনয় রায়ের মতো প্রবীণ শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীতের একক নিবেদনে ছিলেন মুক্তি রায়, মলয় সাহা, শিখা সরকার, সোনালী দত্ত, তনিমা ঘোষ প্রমুখ। আবৃত্তি শোনা গেল বর্ণালী মৈত্র , সুদীপা দাস, রুম্পা দাসদের কণ্ঠে।
লেখা ও ছবি : অনিতা দত্ত।