বিলের টাকা না পেয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারের পাল্টা অভিযোগ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাঁর কাছে ওই বিল পাশ করার জন্য পরোক্ষভাবে টাকা দাবি করেছিলেন। না দেওয়াতেই পাওনা আটকে দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে।
এ দিন দুপুরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) নৃপেন্দ্র সাহা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর হাত থেকে মোটরবাইকের চাবি কেড়ে নিয়ে তাঁকে হেনস্থা করেন এক ঠিকাদার। আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন,“ঘটনাটি শুনেছি। খতিয়ে দেখা হবে।”
নৃপেন্দ্রবাবু জানান, যা নিয়ে বিতর্ক সেই আসবাব কেনার প্রক্রিয়ায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি কমিটি দরপত্র ডাকে। কমিটির সম্পাদক পদাধিকার বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। গত বছর যে সময় দরপত্র ডাকার কথা বলা হয়েছে সেই সময় কমিটি থাকলেও কোনও সম্পাদক ছিলেন না। কারণ তিনি পরে কাজে যোগ দেন। বিল ছাড়ার আগে বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তখন বিলটি পাশ করা হবে কিনা তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। এখন নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এদিন আসবাব সরবরাহকারী উদয় শংকর পাল চৌধুরি আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে মোটরবাইকের চাবি কেড়ে নেন। পরে তা ফেরৎ দেন। বিষয়টি জেলা শাসককে জানিয়েছি।”
উদয়শংকর পাল চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিলের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আমার কাছে খরচ আছে বলে এক লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। তা না দেওয়ায় বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। ’’
টাকা চাওয়ার বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন জেলা বিদ্যলয় পরিদর্শক। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সমীর নার্জিনারি বলেন, ‘‘দরপত্র ডাকার সময় সম্পাদক কেউ ছিলেন না সেজন্য বিকাশ ভবনে কথা বলেই ওই দরপত্র ডাকা হয়েছে। তবে এ দিন আমার দফতরে কি ঘটনা ঘটেছে তা জানিনা।’’ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন,“যেভাবে বিদ্যালয় পরিদর্শককে হেনস্থা করা হয়েছে আমরা তাঁর বিরোধিতা করছি। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।