অভিযোগ: এই এলাকার জমি দখল হয়েছে বলে নালিশ। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে রেলের প্রায় দুই একর জমি দখল করার অভিযোগ উঠল নিউ জলপাইগুড়ির সাউথ কলোনি এলাকায়। সাউথ কলোনির মজদুর বস্তির ওই জমির চারিদিকে লোহার স্তম্ভ বসিয়ে তা ঢালাই করে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তিন-চারদিন আগে তা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জমিটি প্লট করে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই দখল করা হয়েছে। এর আগেও ওই এলাকায় রেলের বহু জমি একই কায়দায় দখল করে বিক্রি করা হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে জমি মাফিয়াদের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে।
জমি দখলে অভিযুক্তদের একজন সঞ্জিত কামতে বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায়ের নির্দেশেই জমির দখল নিয়েছি।’’ যদিও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়ের দাবি, ‘‘ওই জমি নিয়ে এলাকায় ঝামেলা শুরু হয়েছিল। আমি তা থামাতে গিয়েছিলাম। কাউকে জমি দখল করতে বলিনি।’’ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’’
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের নির্মাণ কাজের বরাতপ্রাপ্ত একটি ঠিকাদারি সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট জমিটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল, ওই জমিতে একটি ক্যাম্প অফিস করেছিল সংস্থাটি। নির্দিষ্ট কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় মাস খানেক আগে সংস্থাটি মালপত্র গুটিয়ে চলে গিয়েছে। তারপরই স্থানীয় কিছু যুবক পরিত্যক্ত ক্যাম্প অফিসটি দখল করে সেখানে আড্ডা জমায়। কয়েক দিন আগে জমির দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। পরিত্যক্ত ক্যাম্প অফিসে তৃণমূলের ঝান্ডাও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘জমির একটি অংশে কয়েকটি পরিবার চালাঘর করে থাকতেন। অভিযুক্তরা তাঁদেরও জোর করে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
এর আগেই সাউথ কলোনিতে রেলের একরের পর একর জমি দখল করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। রামনগর কলোনি, মাইকেল বস্তি জমি জবরদখল করে গড়ে উঠেছে বলেই স্থানীয়দের দাবি। আন্ডারপাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল করে বাজার বসানোরও অভিযোগ উঠেছে। রেলের কাটিহারের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’