—প্রতীকী চিত্র।
লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। মাঠের মাঝে বসে দায়িত্ব বণ্টন করছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিলিগুড়ির এক কর্তা, বসে সঙ্ঘের কর্মীরা। রয়েছেন কয়েক জন সাধু। তার এক পাশে চেয়ারে বসে বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির অদূরে কাওয়াখালি মাঠের ছবি।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মাঠে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের কর্মসূচি নিয়েছে ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’। সংস্থার সূত্রে খবর, লক্ষাধিক সমাগমের কথা বলা হলেও ভিড় নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। শুধু সঙ্ঘের তরফে উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে এক লক্ষ ভিড়ের আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, ধন্দ রয়েছে অনেকের। সে জন্য বিজেপিকে ভিড়ের বন্দোবস্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না, উঠছে প্রশ্ন।
দল সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে। দলের সভা, মিছিলে শতাধিকের ভিড়ও হচ্ছে না বলে দলের একাংশের অভিযোগ। ফলে, কাওয়াখালিতে উত্তরবঙ্গের প্রত্যেক জেলা থেকে সঙ্ঘ পরিবার তাদের সদস্যদের যেতে বলেছে, বলে দাবি। বিজেপিকেও সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক লক্ষ্মণ বনসাল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ভেদেভেদ নেই। সবাই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে যেতে পারেন।’’
দক্ষিণবঙ্গ থেকে ওই কর্মসূচিতে অন্তত দশ হাজার ‘সনাতনী’ আসার কথা। এর মধ্যে এক হাজার সাধু থাকতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক এবং বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দেখা গিয়েছে।
বিজেপির উত্তরবঙ্গের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘জেলাগুলি থেকে লোক আনতে যাতায়াত খরচের প্রয়োজন। কিন্তু সে খরচ না মিললে কর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাবেন কী ভাবে?’’ বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা বৈঠকে ছিলাম। কিন্তু দায়িত্বে নেই।’’