উদ্ধার ২ কেজির সোনার বিস্কুট 

ডিআরআই-র আইনজীবী ত্রিদিব সাহা বলেন, ‘‘মায়ানমার থেকে সোনাগুলি উত্তর পূর্বাঞ্চল হয়ে দক্ষিণবঙ্গের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অভিযুক্ত ফিরোজ চক্রের এক সদস্য।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৮:১৫
Share:

জামার ভিতরের বুক পকেটে হলুদ রঙের খামে লুকিয়ে রাখা ছিল সোনার বিস্কুট। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই সোনা-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) অফিসারেরা। মঙ্গলবার রাতে এনজেপি স্টেশনের পদাতিক এক্সপ্রেসের ঘটনা। বুধবার দুপুরে অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

ডিআরআই অফিসারেরা জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে অসম হয়ে সোনাগুলি কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অভিযুক্ত ফিরোজ খানের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২ কেজি ওজনের দু’টি সোনার বিস্কুট। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা।

ডিআরআই-র আইনজীবী ত্রিদিব সাহা বলেন, ‘‘মায়ানমার থেকে সোনাগুলি উত্তর পূর্বাঞ্চল হয়ে দক্ষিণবঙ্গের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অভিযুক্ত ফিরোজ চক্রের এক সদস্য।’’ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শুল্ক আইন অনুসারে উদ্ধার করা জিনিসের মূল্য ১ কোটি টাকার নীচে হওয়ায় অভিযুক্তের জামিন হয়েছে।

Advertisement

শিলিগুড়ি করিডরকে ব্যবহার করে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সোনা পাচারের বেশ কয়েকটি চক্র বরাবর সক্রিয় বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে সোনা উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছায়। সেখান থেকে কলকাতা, মুম্বই বা দিল্লিতে পাচার করা হয়। কয়েকমাস আগে নাথুলা সীমান্ত থেকে আনা সোনা-সহ মহারাষ্ট্রের তিন যুবককে অফিসারেরা গ্রেফতার করে। অফিসারদের অনুমান, মায়ানমার, নেপাল এবং চিন-এই তিন সীমান্তকে ব্যবহার করে সোনা পাচারের কাজ চলছে।

২০১৫-র অগস্টে নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে ২ কেজি সোনার বার উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় নেপালের এক বাসিন্দাকে ধরা হয়েছিল। পরের বছরের এপ্রিলেই ঘোষপুকুর এলাকা থেকে ৩ জনকে ধরা হয়। উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫ কেজি সোনা। যার মূল্য ছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা। ২০১৭-র নভেম্বরেও শিলিগুড়িতে ধরা পড়েছিল মহারাষ্ট্রের তিন সোনা পাচারকারী। তার আগে ওই বছরের এপ্রিল মাসে শিলিগুড়িতে ধরা পড়েন পর্যটক সেজে আসা মিজোরামের পাঁচ বাসিন্দাদের একটি দল। উদ্ধার হয়েছিল ২১ কেজি সোনা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনজেপি থেকে কোচবিহারের তিন যুবককে প্রায় ৪ কেজি সোনা হয় গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ডিআরআই-র অফিসারেরা জানিয়েছেন, ধৃত ফিরোজ দু’দিন আগে কলকাতা থেকে এসে আলিপুরদুয়ারের দিকে গিয়েছিলেন। তার পরে পদাতিক এক্সপ্রেসের শিয়ালদহ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। নীল রঙের জামার বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও সুন্দর করে একটি পকেট তৈরি করা ছিল। তাতে কাগজে মুড়িয়ে মোটা খামে সোনাগুলি রাখা ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement