উৎসাহী: পরিষেবা পেতে দেওয়াল টপকে। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমোহনি ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতে পলহয়েল স্কুলে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন, হাতে কাজ নেই। লকডাউনের শুরু থেকেই এই ছবি গ্রামে গ্রামে। অনেকে ফের ঝুঁকি নিয়েই ফিরে গিয়েছেন ভিন্ রাজ্যে। কোচবিহারের গ্রামাঞ্চলে ‘দুয়ারে সরকার’ হাজির হতেই তাঁরা জবকার্ড চেয়ে আবেদন করছেন। বলেছেন, “আগেও ঘুরেছি। জবকার্ড পাইনি। জানি না এ বার কী হবে!”
বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি থেকে দিনহাটার পেটলা পর্যন্ত। নাটাবাড়ির অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ছিলেন। তিনি বলেন, “অনেকেই নানা সমস্যা নিয়ে এসেছেন। জবকার্ডের বিষয়ে বলেছেন। সমস্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে সমাধানের ব্যবস্থা হচ্ছে।” কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ খোকন মিয়াঁ বলেন, “জবকার্ড নিয়ে বহু মানুষ খোঁজ নিয়েছেন। অনেকের কাছে কার্ড থাকলেও অল্প দিন কাজ পাচ্ছেন, সে বিষয়ে বলছেন। প্রশাসন যত দূর সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এ দিন ১২টি এলাকায় হাজির হয় প্রশাসন। কোচবিহার ও মাথাভাঙা পুরসভার পাশাপাশি কোচবিহার ১, দিনহাটা ১, মাথাভাঙা ১, হলদিবাড়ি, তুফানগঞ্জ ১ ও ২ এবং মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লক রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন সেই শিবিরে। তুফানগঞ্জ ২ ব্লকে ৭০ জন এসেছিলেন। তাঁদের জবকার্ড রয়েছে, কয়েক দিন কাজও পেয়েছেন। অনেকে টাকা পাননি। অনেকের কার্ড নেই, তাঁরা নতুন কার্ডের আবেদন করেছেন। দিনহাটার পেটলা ও মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতেও ‘দুয়ারে সরকার’ হয়। সেখানে সব মিলিয়ে ৪১৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার ১৪৩টি জবকার্ড-ভিত্তিক আবেদন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১ হাজার ২২৪টি ফর্ম বিলি হয়েছে। তার মধ্যে ৯৯টি জমাও পড়েছে। চান্দামারির শিবিরে এক বাসিন্দা বলেন, “জবকার্ড পাইনি। সরকার দুয়ারে এসেছে, আশা করছি এ বার পাব।”