জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
আজ সোমবারই জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ পরিদর্শনে আসছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল। এর আগে একাধিকবার বেঞ্চের পরিকাঠামো উপযুক্ত রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরুর দিন ঘোষণা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দফতর।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং ১১ মার্চ থেকে বেঞ্চের কাজ শুরু হবে। তার আগে বেঞ্চের অস্থায়ী আদালত ভবন ও অন্য ভবনে আরও কোন কোন পরিকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে তা দেখতেই আজ সোমবার দুই বিচারপতির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আসছে বলে খবর।
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শুভাশিস দাসগুপ্ত। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং রেজিস্ট্রার (জুডিসিয়ারি) থাকবেন। পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজ মহম্মদ শব্বর রশিদিরও প্রতিনিধি দলে থাকার কথা রয়েছে বলে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর এর আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার (লিস্টিং) পদে থাকার সময়ে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শনে এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের তরফে জেলাশাসক ও অন্য দফতরের আধিকারিকরাও পরিদর্শনে থাকবেন।
পরিদর্শনকারী দল আসার আগে এ দিন রবিবার থেকে সাফাই শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলো তথা অস্থায়ী আদালত ভবন। পাশাপাশি চলছে বিদ্যুতের কিছু কাজও। বিচারপতিদের থাকার তিনটি আবাসন তিস্তা ভবন, সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশ এবং জুবিলি পার্কের নবনির্মিত বাংলোতেও শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত থেকে প্রতিনিধিরা গিয়ে একপ্রস্ত বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শন করেছেন।
গত সপ্তাহেই পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেহ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা বেঞ্চের সবকটি ভবন ঘুরে দেখেন। প্রায় পাঁচ মাস তালাবন্ধ থাকার ফলে অস্থায়ী আদালত ভবনের একাংশ ধুলোয় ভরে গিয়েছিল। কিছু জায়গায় পলেস্তারাও চটে গিয়েছিল। প্রশাসনের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে সংস্কার চালিয়ে সে সব আগের মতো করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ মাস বন্ধ থাকলেও বড় কোনও ক্রুটি হয়নি বলেই দাবি প্রশাসনের আধিকারিকদের।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ সার্কিট বেঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে চলেছে। আজ সোমবার পরিদর্শনের পরে আরও কিছু নির্দেশ আসবে ধরে নিয়েছেন আধিকারিকরা। দু’সপ্তাহের মধ্যে সে সব তৈরি করাই আপাতত প্রশাসনের কাছে পরীক্ষা।