শহর স্বচ্ছ রাখতে মিছিলের মুখ ঋদ্ধি

শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে শহরের মানুষকে সচেতন করতে প্রচার র‌্যালি হল শিলিগুড়িতে।‘এই শহর আপনাদের, আমারও। আমরাই রাখব পরিচ্ছন্ন। স্বচ্ছ আমি, স্বচ্ছ তুমি, স্বচ্ছ শিলিগুড়ি।’ বুধবার ঋদ্ধিমান সাহার ছবি এবং তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে সচেতনতা প্রচারে র‌্যালি হল শিলিগুড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

সচেতনতা: শিলিগুড়ির পথে পরিচ্ছন্নতার প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।

শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে শহরের মানুষকে সচেতন করতে প্রচার র‌্যালি হল শিলিগুড়িতে।

Advertisement

‘এই শহর আপনাদের, আমারও। আমরাই রাখব পরিচ্ছন্ন। স্বচ্ছ আমি, স্বচ্ছ তুমি, স্বচ্ছ শিলিগুড়ি।’ বুধবার ঋদ্ধিমান সাহার ছবি এবং তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে সচেতনতা প্রচারে র‌্যালি হল শিলিগুড়িতে। শহর পরিষ্কার রাখা, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখা এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচারের কাজে পুরসভার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে শহরের বাসিন্দা ক্রিকেট তারকা ঋদ্ধিমানকে। পুরসভার উদ্যোগে সচেতনতা প্রচারে তাই এ দিন র‌্যালি বার করা হয়। বিরোধীরা অবশ্য এ দিন র‌্যালিতে ছিল না। তারা জানিয়েছে, মেয়রের লোক দেখানো প্রচারে তাদের সায় নেই। ঋদ্ধিমান আইপিএল শেষে শহরে ফিরলে তাকে শহরের কোথায় কী পরিস্থিতি দেখাতে চান বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার।

মেয়র অবশ্য বিরোধীদের কথায় কান দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা কিছু বলতেই পারেন। কলকাতা পুরসভায় সাফাইয়ের যে পরিকাঠামো আমাদের সেই তুলনায় কিছুই নেই। তার মধ্যে থেকেই আমরা শহরকে পরিষ্কার রাখছি। তুলনা করলে কলকাতার চেয়েও পরিষ্কার এই শহর।’’ এ দিন বাঘাযতীন পার্ক থেকে হাসমিচক হয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রচার র‌্যালিতে অংশ নেন মেয়র। মেয়র পারিষদ, দলের কাউন্সিলর ও শিলিগুড়ির স্কুলগুলোর একাংশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে হাঁটেন।

Advertisement

ঋদ্ধিমানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার পর তাঁরই বাড়ির সামনে নিকাশির বেহাল পরিস্থিতি, জঞ্জাল পরে থাকা নিয়ে সরব হয়েছিল পুরসভার বিরোধী তৃণমূল। বিরোধীদের মতে মেয়র হাস্যকর ভাবে কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ির তুলনা টানছেন। বিরোধী দলনেতা রঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমরা শীঘ্রই ঋদ্ধিমানকে চিঠি লিখব। তাঁর জনপ্রিয়তা, নামকে ব্যবহার করবে শিলিগুড়ি পুরসভা অথচ কাজ করা হবে না, এটা হতে পারে না। পুরসভাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন এলাকা আবর্জনায় ভর্তি। বর্ষা এসে গেলেও হাইড্র্যান্টগুলো পরিষ্কার হয়নি। রবিবার সাফাইয়ের কাজ হচ্ছে না। শুধু মাত্র প্রচার চলছে। রঞ্জনবাবুর অভিযোগ, তাদের সে ভাবে ডাকাই হয়নি। আলোচনা করা হয়নি। শুধু চিঠি ধরিয়ে দিলেই হল না।

সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ জানান, তিন মাস ধরে শহর পরিষ্কার রাখতে অভিযান চলবে। প্রতি মাসের শুরুতে এবং মাঝে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচার এবং সমীক্ষা করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা। শহর প্লাস্টিকের ক‌্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতেও অভিযান চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement