ফাইল চিত্র।
বন্যার ক্ষতির রেশ পর্যটনেও। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় পুজোর মুখে ডুয়ার্সে বাতিল হচ্ছে পর্যটকদের বুকিং। চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পাহাড়ে বন্ধের জেরে এ বছর ডুয়ার্সে পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশা ছিল ব্যবসায়ীদের। অনেক আগে থেকেই পুজোর বুকিং করেছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু পুজোর আগে রেল পরিষেবা নিয়ে অনিশ্চয়তায় বুকিং বাতিল শুরু হয়েছে।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব দে জানাচ্ছেন, এ বছর পর্যটকেরা দার্জিলিঙে সমস্যার জন্য ডুয়ার্স ও ভুটানে বেশি বুকিং করেছিলেন। কিন্তু বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত রেল চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কবে তা হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে বাসে আসা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর। আবার বিমানের ভাড়াও সবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্যই বুকিং বাতিল হচ্ছে।
বিপ্লববাবুর সংস্থায় বুকিং করা পাঁচটি পর্যটক দলের দুশোর কাছাকাছি পর্যটকের বুকিং বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, “গত বছর পর্যটন মরসুমের শুরুর কয়েক দিনে প্রায় কুড়ি হাজার পর্যটক এসেছিলেন ডুয়ার্স ও ভুটানে। এ বছর ডুয়ার্সের লজ মালিকরা জানিয়েছেন প্রায় সাড়ে বারোশো পর্যটক এখনও পর্যন্ত বুকিং বাতিল করেছেন। রেল চলাচল পুজোর আগে স্বাভাবিক না হলে পর্যটন মরসুমের শুরুতেই ব্যবসা বড় ধাক্কা খাবে।’’ চিলাপাতার লজ মালিক গণেশ শাহ জানান, পুজোর আগে তাঁর লজে চল্লিশ জন পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ টাকা ছুঁয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলিতে সাফারি শুরু হয়। সেই জন্য এই সময় থেকে কালীপুজো পর্যন্ত পর্যটকদের ভাল ভিড় থাকে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, পুজোর আগে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার পর্যটক রেলপথে উত্তরবঙ্গে আসেন। এ বছর ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় সমস্যা শুরু হয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে পর্যটন দফতরের বাস ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অতিরিক্ত বাস চালানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর আরও আশ্বাস, ‘‘আমরা বিমান পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সকালের দিকে বাগডোগরা থেকে বিশেষ বিমান চালানোর ব্যবস্থা করেছি। তা শীঘ্রই চালু হবে।” রেল মন্ত্রকের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। দ্রুত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগকারী ট্রেনগুলি স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু হবে।’’