রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএজি-কে দিয়ে (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সাত বছরের অডিট (হিসাব পরীক্ষা) করাতে উদ্যোগী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিএজিকে, বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত সময়কালের অডিট করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলকাতায় সিএজি-র দফতরে গিয়েও একই অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, ২০১৫ সালে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, প্রাক্তন উপাচার্য অনিল ভুঁইমালির আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ‘আর্থিক দুর্নীতি’ হয়ে থাকলে, সে দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ নিতে চাইছেন না।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা পার্থ ও তাঁর গবেষণার ‘গাইড’ অনিল ভুঁইমালির ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন। অনিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে সেখানে শিক্ষক ও আধিকারিক নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের একাংশের পদোন্নতি নিয়েও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তোলেন। যদিও এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব কাজ হয়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অনিলকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বদলি করে শিক্ষা দফতর। এর পরে, প্রাক্তন শিক্ষিকা সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায়কে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে বসানো হয়। সঞ্চারি দায়িত্ব নিয়েই সিএজি-কে দিয়ে গত সাত বছর সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট করানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন। এই বিষয়ে সঞ্চারি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ বিষয়ে ফোন করা হলে ধরেননি অনিল। জবাব মেলেনি মেসেজের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার শঙ্কর ঘরাইয়ের দাবি, চার বছর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সিএজি-কে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট করানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের দফতর থেকে এ বারে সিএজিকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। আশা করছি, কয়েকমাসের মধ্যেই সেই অডিট শুরু হবে।’’