রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। —ফাইল চিত্র
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে বহাল, কোচবিহারের আরেক মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণও এ বার পেলেন দফতর। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরের জন্য রাজ্যপালের দফতরে পাঠানো হয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিনয়কৃষ্ণকে তফসিলি জাতি ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেওয়া হয়েছে। ওই দফতর ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। রাজীবকে দেওয়া হয়েছে বন দফতর। শান্তিরাম মাহাতোকে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিনের সফরে কোচবিহারে পৌঁছবেন। তার আগে তিনি দলীয় স্তরে ওই বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্বের কাছেও ওই খবর পৌঁছে গিয়েছে। তা নিয়ে খুশির হাওয়া রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তেই কিছু বলতে চান না বিনয়কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “দল দায়িত্ব দিয়েছে। চেষ্টা করব দফতরের কাজ ভাল ভাবে করে উন্নয়নের পথে সব বাধা কাটাতে।”
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। রাজ্যের একাধিক আসনও হাতছাড়া হয় রাজ্যের শাসক দলের। সেই অবস্থায় একাধিক পরিবর্তন করা হয় মন্ত্রিসভা ও দলে। কয়েক মাস আগেই বন দফতরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিনয়কৃষ্ণকে। তিনি দফতরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন। পরে রবীন্দ্রনাথকে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে বিনয়কৃষ্ণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ফের মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে বলে দলীয় স্তরে খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে দল সূত্রেই খবর ছিল, রবীন্দ্রনাথকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের আরেক নেতা গৌতম দেব বর্তমানে পর্যটন মন্ত্রী। তাঁকেও নতুন কোনও দফতর দেওয়া হবে। এ দিন অবশ্য জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ও গৌতমের দফতর বহাল রাখা হয়েছে। পুরনোদের কাউকেই সরানো হয়নি। বিনয়কৃষ্ণকে নতুন করে দফতর দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অসুস্থ। তাঁকে কোলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা তথা উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে পুরনো নেতৃত্বের একটি প্রভাব রয়েছে। সে কথা মনে রেখেই বিনয়বাবুকে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হল। কোচবিহার জেলার এক নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসার আগে খুশির খবরে দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও অনেকটা চাঙ্গা হবেন।”