প্রস্তুতি: বালুচর কল্যাণ সমিতির মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
পুজোর বাজেট এক ধাক্কায় ৩৫ লক্ষ থেকে নেমে এসেছে ৭ লক্ষ টাকায়। গত বছর পর্যন্ত থিমের প্যান্ডেল নিয়ে ছিল বিপুল লুকোছাপা। এ বারে সব হাট করে খোলা। অষ্টমীর অঞ্চলি? তা-ও মাইকে মন্ত্র শুনে বাড়িতে বসে দেওয়া ব্যবস্থা করছেন উদ্যোক্তারা।
করোনার ধাক্কায় মালদহের বড় বাজেটের পুজোগুলি এ বারে এমনই উদ্যাপনের কথা ভাবতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি পুজোর বিধি বেঁধে দেওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খোলা প্যান্ডেল, মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার আবশ্যিক। এ কথা মাথায় রেখে বালুচর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে বাজেট এ বারে ৩২ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষে নেমেছে। তবে দুর্গার মূর্তি একই থাকছে। পাড়া জুড়ে মাইক লাগানো হবে। তাতে মন্ত্রপাঠ শুনে বাড়িতেই তাঁরা অঞ্জলি দেবেন। পরে ক্লাবের সদস্যরা গিয়ে সেই ফুল এনে প্রতিমার পায়ে দেবেন।’’
শিবাজি সংঘের বাজেট ৩৫ লক্ষ থেকে নেমেছে ৭ লক্ষে। লকডাউন থেকে শিশুরা ঘরবন্দি, তাই পুজোর থিম ‘মেলা’। মণ্ডপও খোলামেলা, আলোর আতিশয্য থাকছে না। উপরন্তু থাকছে স্যানিটাইজ়েশন ও মাস্ক।
চাঁদা না তুলেই এবারে পুজো করছে শহরের আর এক বড় পুজো শান্তিভারতী পরিষদ। ১৮ লক্ষ টাকার বাজেটে নেমে এসেছে ৫ লক্ষে। কাল্পনিক রাজবাড়ির আদলে বড় একটি মণ্ডপ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতে প্লাই বা অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবহার হবে না। পুজো কমিটির সম্পাদক অরিন্দম সরকার বলেন, ‘‘কাপড় দিয়ে বানানো মণ্ডপ হবে খোলামেলা। রাস্তা থেকে মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখা যাবে।’’
অনীক সংঘের বাজেটও এবারে ৫ লক্ষ টাকা। পুজো-কর্তা কৌশিক বসু বলেন, ‘‘আমাদের ক্লাবের বিশাল মাঠ জুড়ে এবারে মণ্ডপ হচ্ছে না। স্থায়ী মণ্ডপে প্রতিমা থাকবে, সামনে গেটের আকারে একটা মণ্ডপ করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠ জুড়ে গণ্ডি কেটে দেওয়া হবে।’’