পুলিশ কমিশনারের ডাকা বৈঠকে গিয়ে পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব পাননি পুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলি। তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলি বলতে গেলে তা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ। সমস্যা নিয়ে পুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলি পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বারস্থ হতে চলেছে। অনেকে ইতিমধ্যে পর্যটন মন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছেনও। বিশেষ করে পুজোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সরলীকরণ করা, বিসর্জনের দিনক্ষণ সঠিক ভাবে জানানো, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি কোথা থেকে মিলবে, অন লাইনে আবেদন বা ফি জমা দেওয়া যাবে কি না তা সঠিক ভাবে জানানোর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘একাধিক ক্লাব কর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি দেখছি।’’ শনিবার ক্লাবগুলির সঙ্গে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জানান, ১১ অক্টোবর বেলা ৪টের মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে। কয়েক জন জানান, পুলিশ কমিশনার জানান, বিসর্জনের দিনক্ষণ হবে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে অন লাইনে পুজোর অনুমতি দেওয়ার কথা প্রথমে জানানো হলেও ওই পরিকাঠামো সম্পূর্ণ গড়ে তুলতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। সেন্ট্রাল কলোনি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা জয়ন্ত দে বলেন, ‘‘পুজোর আয়োজনে যাতে কোনও সমস্যা না-হয় তা দেখতে আমরা পর্যটন মন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাব। ১১ অক্টোবর বেলা ৪ টার মধ্যে যে বিসর্জন সম্ভব নয় তা পুলিশের বোঝা উচিত।’’ সঙ্ঘশ্রী, মহানন্দা ক্লাবের কর্মকর্তারাও জানান, তাঁরাও চান পর্যটন মন্ত্রী বা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীরা বিষয়টি দেখুন।